নিজস্ব প্রতিবেদক :: পিরোজপুরের নাজিরপুরে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি মো. হাসান তালুকদারের স্ত্রী, ভায়রা ভাই, শ্যালিকাসহ চার জনকে কুপিয়ে জখম করেছে পাশের বাড়ির দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেল ৫টার দিকে তার শ্বশুর বাড়ি উপজেলার বাবুরহাট গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আহতরা হলেন- সাংবাদিক মো. হাসান তালুকদারের স্ত্রী সারা আক্তার বিথী (২৮) তার শ্যালিকা সুরাইয়া আক্তার তিন্নি(২৫) সাথী আক্তার (৩০) এবং ভায়রা ভাই এনায়েত খান (৪৫) তারা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরই বাংলা (শেবাচিম) মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যরা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত পরশু দিন (১২জুন) ছোট শিশু বাচ্চাদের খেলা কেন্দ্র করে পারিবারিকভাবে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দুই দিন পর (১৪জুন) সাংবাদিকের শ্বশুর সাহাবুদ্দিন সরদার (৬০) বিকেল সাড়ে চারটায় নামাজ পড়ে আসার পথে তার ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে সন্ত্রাসীরা। পরের দিন বিকেলে মো. দিল মোল্লার ছেলে সন্ত্রাসী মো. মামুন মোল্লা (৪০) ঘর থেকে ধারালো অস্ত্র এনে সুরাইয়া আক্তার তিন্নির মাথায় কোপ দেয়। এসময় এসাহাক মল্লিকের ছেলে মন্টু মল্লিক (৪২) মো. মন্টু মল্লিকের ছেলে হানিফ মল্লিক( ১৯) হামজা মোল্লার ছেলে সরোয়ার হোসেন মোল্লা(৫৮) সরোয়ার হোসেন মোল্লার ছেলে মনির মোল্লা (২৮) মো. মামুন মোল্লার স্ত্রী সোনিয়া বেগম( ২৫) শুকুর আলী সরদারের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৫০)। সংঘবদ্ধভাবে অন্য তিন বোনকেও ধারাবাহিকভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় ওই দুর্বৃত্তরা।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুমন কৌশিক সাহা বলেন, গতকালকের মারামারির ঘটনায় সাংবাদিকের স্ত্রী, শ্যালিকার মাথায় জখম হয়েছে, তার শ্যালিকার মাথায় আঘাতের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং অন্যরা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভুঁইয়া বলেনম, ঘটনা শোনার সাথে সাথেই আমার এস আই সরোয়ারের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করি। এ ব্যাপারে ওই সাংবাদিকের শ্বশুর নাজিরপুর থানায় একটি এজাহার মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।