নিজস্ব প্রতিবেদক :: স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামী রবিউল ইসলামকে দীর্ঘ ৪ মাস পর বরগুনা জেলার বেতাগী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ এর একটি আভিযানিক দল।
র্যাব-৮, পটুয়াখালী ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৭ জুন ২০২৫ তারিখ, আনুমানিক দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে বরগুনার বেতাগী থানাধীন দূর্গাপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় চাঞ্চল্যকর সাভার হত্যা মামলার প্রধান আসামী রবিউল ইসলাম (৩৪), পিতা- মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাং- পশ্চিম বৈদ্যনাথ, থানা- সুন্দরগঞ্জ, জেলা- গাইবান্ধা’কে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার বিবরণ
২০১৩ সালে আসামী রবিউল ইসলাম ও ভিকটিম আসমা আক্তার (৩০), পিতা- মোঃ ইউসুফ আলী, সাং- পাইটকা পাড়া, থানা- সুন্দরগঞ্জ, জেলা- গাইবান্ধা’র মধ্যে বিয়ে হয়। তারা দু’জনেই সাভারের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। কিন্তু দুই মাস আগে রবিউল তার চাকরি ছেড়ে দিলে সংসারে টানাপোড়েন শুরু হয়। একার আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন আসমা। এর জেরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ ভোরে সাভারের বাসায় আসমাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘরের দরজায় তালা লাগানো দেখে অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা সন্দেহ করে। দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতেই তারা মশারির নিচে আসমার নিথর দেহ দেখতে পান। পরে আসমার চাচা বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর- ২৬/৯৪, তারিখঃ ১১/০২/২০২৫, ধারা: ৩০২ পেনাল কোড)।
র্যাবের যৌথ অভিযান
ঘটনার পর রবিউল ইসলাম আত্মগোপনে চলে যান। বিষয়টি র্যাবের নজরে এলে তাকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে র্যাব-৮, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-৪, নবীনগর ক্যাম্পের যৌথ আভিযানিক দল বেতাগীতে সফল অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেফতারের পর রবিউল ইসলামকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটুয়াখালী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।