নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলায় মাছের ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির অফিস ভাংচুর, লুটপাট ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিন্টু মিয়ার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে হামলার ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ১৯ জুন) কাঞ্চন মোল্লা বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় হামলার ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা ও জোড়া খুনের অন্যতম আসামি মোঃ মিজান মিয়া, মাওলানা রহমাতুল্লাহ বিশ্বাস, মোঃ শাহাদাৎ মিয়া, মোঃ নুহ মিয়া, মোঃ শিরাজ মিয়া, মোঃ হাকিম মিয়া, মোঃ মনির বিশ্বাস, মোঃ মনির মিয়া, মোঃ মামুন হাওলাদার, মোঃ রুহুল মিয়া, মেহেদী হাসান বিশ্বাস, দুখু মিয়া, এস রহমান মিয়া, মোঃ নজরুল মিয়াসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়- উপজেলার মুড়িবাড়ি উত্তর সাতলা সততা মৎস্য ঘেরটি নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের কবল থেকে দখলমুক্ত করে সাতলা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিন্টু মিয়া প্রকৃত জমির মালিকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে ২৬ শত মন বিভিন্ন প্রজাতির পোনামাছ চাষ করেছে এবং রীতিমত মাছের খাবার ও পরিচর্যা করে তারা। ওই ঘেরটি পুনরায় জোরপূর্বক দখল করার জন্য গত ১১ জুন বেলা ১১ টায় সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মিজান মিয়া তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সততা মৎস্য ঘেরের সভাপতি ও সাতলা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিন্টু মিয়াসহ ৬ জন আহত হয়। এছাড়া বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা ও লুটপাট চালায় ওই হামলাকারী সন্ত্রাসীরা। এতে নগদ অর্থসহ প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয় হামলাকারীরা। এদিকে মিন্টু মিয়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান- হামলার ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে আসামিদের অচিরেই গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।