নিজস্ব প্রতিবেদক :: টেন্ডার ছাড়াই কলেজের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বরিশাল সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। এমনকি গাছ কাটার আগে কোনো মিটিং ও রেজুলেশন করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঈদ-উল আযহায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে কলেজের ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জায়গা থেকে বেশ কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রি করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকা গাছ কাটার প্রয়োজন হলে নিলামে বা টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করার জন্য জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তার অনুমতি প্রয়োজন। এছাড়া বন বিভাগে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদন সরেজমিন যাচাই-বাছাই করে গাছের মূল্য নির্ধারণ করে কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এসবের কোন তোয়াক্কা করেননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান।
শ্রমিকরা জানান, কলেজের প্রিন্সিপাল স্যার গাছটি কাটার জন্য বলেছেন। এরপর সেগুলো দিয়ে কি করবে জানি না। বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন পাটোয়ারী বলেন- বরিশাল সিটি কলেজের গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। নামপ্রকাশ না করার শর্তে কলেজের শিক্ষকরা জানান, গাছ কাটার বিষয়ে কোনো মিটিং বা টেন্ডার হওয়ার খবর জানা নেই।
কলেজ বন্ধ তাই কোনো শিক্ষক কলেজে না যাওয়ার সুযোগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাছ কাটিয়েছেন। বরিশাল সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, কলেজের ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য গাছগুলো কাটা প্রয়োজন ছিল। তাই কলেজ উন্নয়ন কমিটি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ গাছ আমরা লাগিয়েছি, তাহলে কাটতে হলে কারো অনুমতি লাগবে কেন?
বরিশাল সিটি কলেজের সভাপতি আবদুর রব বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে শুনেছি। কলেজের ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য গাছগুলো কাটা প্রয়োজন তাই কেটেছে। কলেজের ফান্ডে টাকা নেই সাইকেল ষ্ট্যান্ড নির্মাণ করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষত নতুন তাই টেন্ডারের বিষয়ে অবগত নন।