নিজস্ব প্রতিবেদক :: ঝালকাঠি সদর উপজেলার রূপনগর এলাকায় একটি তিনতলা পাকা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার অধিকাংশ অংশ পুড়ে গেছে। এতে আসবাব, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ছাই হয়ে গেছে।
ভবনটির মালিক ইমরান হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘আগুন লাগার সময় আমি বাসায় ছিলাম না। খবর পেয়ে এসে দেখি, সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো বুঝতে পারছি না, আগুন লাগল কীভাবে।’
খবর পেয়ে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সরু রাস্তা ও আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। অনেক দূর থেকে পাইপ টেনে পানি এনে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন লিডার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তা সরু থাকায় আমাদের পানি সরবরাহের গাড়ি ভেতরে ঢুকতে পারেনি। দীর্ঘ পাইপলাইন বসিয়ে দূর থেকে পানি এনে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ঘরের সব আসবাব, ইলেকট্রনিকস ও কাগজপত্র পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তদন্ত চলছে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগুন লাগার সময় হঠাৎ ধোঁয়ার গন্ধ ও আগুনের শিখা দেখতে পান তাঁরা। পরে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। তবে আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে কয়েক মিনিটেই পুরো দুটি তলা আগুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
সৌভাগ্যবশত, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আশপাশের ভিড় সামলে ফায়ার সার্ভিসকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে সহযোগিতা করা হয়।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।