নিউজ ডেস্ক :: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ১০লক্ষ টাকার কাবিটা প্রকল্পে পুরানো ইট ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগে উঠেছে প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। তাকে একাজে সহযোগিতা করছে বাকাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা বিপুল দাস। রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম হলেও ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না।
স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে বাকাল বাস্তবায়ন কদমবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ওয়াপদা সড়ক পর্যন্ত ১ হাজার ৫শত ফুট রাস্তা ইটের সোলিং করার জন্য ১০লক্ষ ৬শত ১২টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই কাজের নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল ও ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি তাপস অধিকারীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্যের কাজ বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার সরকারী নির্দেশ থাকলেও তারা এখনও কাজ করছেন। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই রাস্তার পুরানো ইট দিয়ে শ্রমিকরা কাজ করছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে জানা গেছে, ওই রাস্তা পুরানো কোন ইট ব্যবহার করা যাবে না। সরকারী নির্দেশ অমান্য করে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল দাসের নির্দেশে ওই পুরানো ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। যতটুকু রাস্তায় ইটের সোলিং বসানো হয়েছে তাও অনেক স্থানে ফাঁকা রয়েছে।
ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে লোকজনের সমস্যা পরতে হচ্ছে। রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম হলেও ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয়দের মাঝে এনিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী আশিষ অধিকারী, ভ্যানচালক নুর আলম বলেন, কাজের মান ভাল হয়না। আমরা জানিনা কত টাকা বরাদ্দ, তারা মাঝে মাঝে পুরানো ইট দিয়ে কাজ করছে। ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারছি না।
প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল বলেন, আমি শুধু ইট, বালু সংগ্রহ করে দেই। কাজ বাস্তবায়ন করেন ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস। সে যে-রকম বলেন সেই রকম কাজ করা হচ্ছে। ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস বলেন, পুরানো ইট দিয়ে কাজ করলে তা উঠিয়ে ফেলার জন্য বলা হয়েছে। সঠিক নিয়মে কাজ করতে হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সোহেল হোসেন বলেন, ফোন করে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। এরপরে কাজ করলে সেই দায়িত্ব ইউপি সদস্যের। ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বলেন, ফোন করে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছেন পিআইও। দেখে পরবর্তীতে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।