নিউজ ডেস্ক :: মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ৫ মাস বয়সী যমজ কন্যা সন্তানকে পুকুরে পানিতে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দুই শিশুর মা-বাবাকে আটক করেছে। সোমবার(৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বিবন্দি এলাকার একটি পুকুর থেকে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত শিশুদুটির বাবার দাবি, তার স্ত্রী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরদিকে মায়ের পাল্টা অভিযোগ, স্বামীই শিশু দুটিকে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। পরে পুলিশ উভয়কেই আটক করে।
জানা গেছে, শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দি গ্রামর দিনমজুর সোহাগ শেখের (২৮) সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের মজিদপুর দয়হাটা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে শান্তার (২৪) বিয়ে হয়। ৫ মাস আগে শান্তা যমজ কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এরপর থেকে তাদের মধ্য প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। শান্তা সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকলেও বেশকদিন আগে স্বামীর বাড়িতে চলে যান। সোমবার রাত ৮টার দিকে সোহাগের ঘর থেকে হট্টগোল শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে জানতে পারেন কিছুক্ষণ আগে যমজ শিশুকে (লামিয়া ও সামিহা) পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা পুকুরে নেমে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত দুই শিশুর চাচা সাকিব শেখ জানান, রাত ৮টার দিকে হঠাৎ সোহাগের ঘর থেকে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে শান্তা জানায় তার স্বামী বাচ্চাদের পুকুরে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু সে সময় সোহাগ শেখকে আমি ঘরে দেখতে পাইনি। পরে আমি দৌড়ে পুকুরে গিয়ে দেখি উপুড় অবস্থায় শিশু দুটি পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সিনথিয়া নুর বলেন, রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে আমাদের হাসপাতালে দুটি মেয়ে শিশুকে আনা হয়। শিশুদুটি পানিতে পড়ে গিয়েছিল বলে আমাদের জানানো হয়। আমরা ওই শিশুদুটিকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট চিকিৎসা করে তাদের মধ্যে কোনো প্রাণের স্পন্দন পাইনি।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান জানান, প্রাথমিকভাবে সন্দেহের তীর বাবা-মায়ের দিকেই। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আ