নিজস্ব প্রতিবেদক :: জুলাই গনঅভ্যুথানে বরিশাল বাসির বিশাল অবদান ছিলো। ১৫ জুলাই আবু সাইদ মারা যায়। ১৬ জুলাই বরিশালের ছাত্র জনতারা ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করেছিলো। বরিশালে পদযাত্রার পরবর্তী সমাবেশে এসকল কথা বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’র আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। এসময় তিনি আরো বলেন, জুলাই গনঅভ্যুথান আজ এক বছরের দারপ্রান্তে। আমরা গনঅভ্যুথানের পরে বলেছিলাম ফ্যাসিবাদের রাজনিতি বিলুপ্ত করতে হবে। নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, দূর্নীতিমুক্ত গড়তে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। আমরা সহিংসতা মুক্ত রাজনৈতিক বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখনও আমরা তা দেখতে পারছি না। গনঅভ্যুথানের ছাত্রদের শক্তি এখনো উজ্জবিত রয়েছে। আমরা এ দেশকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, দূর্নীতি ও সহিংসতা মুক্ত বাংলাদেশ তৈরি করেই ঘরে ফিরবো।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’র দক্ষিনাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসানাত আবদুল্লাহ তার বক্তেব্যে বলেন, এক জুলাই ঘুরে আরেক জুলাই এসেছে। কিন্তু এখনো ছাত্র আন্দোলনের প্রকৃত লক্ষ অর্জন হয়নি। চাঁদাবাজ বললে একটি দলের মন খারাপ হচ্ছে। সব জায়গায় একটি দল প্রকাশ্যে সহিংসতা করে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছিলাম বিচার, সংস্কার ও পুনর্গঠন। এর আগে কোন নির্বাচন হবে না। নির্বাচন কমিশন প্রভাবিত হয়ে আওয়ামীলীগকে পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহনের পায়তারা চালাচ্ছে। যা কোন ভাবেই সফল হতে দেবে না ছাত্র জনতা। সব রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, যদি তারেক জিয়া বিএনপি নিজেদের সকলকিছুর উর্দ্ধে মনে করে তবে ভুল করবে। সবারই একটা কথা মনে রাখা দরকার জনগনের উর্দ্ধে কোন দল নয়।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’র মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বরিশাল জেলার প্রধান সংগঠক আবু সাইদ মুসা, সিনিয়র সংগঠক আসাদ বিন রনি, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহামুদা আলম মিতু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আবির। উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা সারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, এনসিপি নেত্রী নাহিদা সরোয়ার লিমা, সামিয়া ফারজানা, আতাউল্লাহ, ফয়সাল মাহামুদ প্রমুখ।
এর পূর্বে নগরীর কালিবাড়ি রোড এলাকা থেকে পদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। পদযাত্রাটি ফজলুল হক এভিনিউ পথসভাস্থলে এসে শেষ হয়।