গভীর নিম্নচাপ এবং ঘুর্ণিঝড় ’হামুন’র শঙ্কায় আগামীকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে এই নির্দেশনা জারি করেছে। এর আগে, দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের সোমবার (২৩ অক্টোবর) বেলা তিনটার মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশনা দেয় প্রশাসন।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্টমার্টিনের আবহাওয়া গুমোট হয়ে আছে। সাগর ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ, স্পিড বোট, কাঠের বোট বা যেকোনো জলযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত সব পর্যটকদের দ্বীপ ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দ্বীপটিতে মাইকিং করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানা যায়, টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেয়ারি সিন্দাবাদ ১৮০ জন, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ২৭২ জন ও এমভি বার আউলিয়া ৭২৭ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে গেছে। জাহাজগুলো দুপুর ১টার মধ্যে সেন্টমার্টিন জেটিতে পৌঁছায়। রোববার বেড়াতে গিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো পর্যটক দ্বীপটিতে রাত্রিযাপন করেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, প্রশাসনের নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদ ও বিচ কর্মীদের সমন্বয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে মাইকিং করার পাশাপাশি হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে নির্দেশনা পৌঁছানো হয়েছে। এখানকার আবহাওয়া গুমোট হয়ে আছে, সাগর ধীরে ধীরে উত্তাল হচ্ছে।