নিউজ ডেস্ক :: নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় আড্ডাবাজি করতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিনের নজরে পড়েন চার স্কুলছাত্র। পরে তাদের ডেকে কম্পোজিশন লিখতে দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন শনিবার (১৯ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চার শিক্ষার্থীর পড়তে বসার ছবিটি ভাইরাল হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতের দিকে হাতিয়া উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকার পুকুরপাড় দিয়ে হাঁটছিলেন ইউএনও মো. আলাউদ্দিন। এ সময় পুকুরঘাটের সিঁড়িতে চার কিশোরকে বসে আড্ডা দিতে দেখেন তিনি। তাদের হাতে ছিল মোবাইল ফোন। গেমস খেলা নিয়ে ব্যস্ত ছিল সবাই।
কাছে গিয়ে ইউএনও জানতে চান— তারা কারা, কী করে। জবাবে তারা সবাই স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র বলে জানায়। তখন ইউএনও চারজনকেই নিজের সরকারি বাসভবনের এক কক্ষে ডেকে পাঠান। খাতা-কলম দিয়ে তাদের পড়তে বসান এবং একটি বিষয় মুখস্থ করে কম্পোজিশন লিখতে বলেন।
পরে একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসে অন্যদের সঙ্গেও কথা বলেন এবং সবাইকে নিয়ে যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও মো. আলাউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতে চারজনকে আড্ডা দিতে দেখে ডেকে নিয়ে পড়াশোনায় বসিয়েছি। তাদের মুখস্থ করে লিখতে দিয়েছি। তারা সেটা করেছে। চাইলে আরও কঠোর শাস্তি দিতে পারতাম, কিন্তু তারা ছাত্র— এই বিবেচনায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদ এলাকায় সন্ধ্যার পর কোনো ছাত্রকে আড্ডা দিতে দেখলে একইভাবে ডেকে নিয়ে পড়াশোনায় বসানো হবে। আড্ডা নয়, এই বয়সটা পড়াশোনার।

ইউএনও’র এই উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিবাচক প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকে মন্তব্য করেছেন— শাস্তি নয়, এমন মানবিক উদ্যোগই বদলে দিতে পারে যুবসমাজকে।

কাশেম উদ্দিন নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। তবে এরপর থেকে যারা আড্ডা দেবে রাতে, তাদের শাস্তির বিধানটাও চালু হোক, তবে সংশোধন হবে।