বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি :: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরহোগল পাতিয়া গ্রামে আকস্মিক নদী ভাঙনে চারটি পরিবারের বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই ) গভীর রাতে উপজেলার সন্ধ্যা নদীর আকস্মিক ভাঙনে বসতিগুলো বিলীন হয়ে যায় । এ সময় নদী পাড়ের গাছপালাও নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে বলে জানা যায়। এ ছাড়াও ওই এলাকার সবুজ বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ চরহোগল পাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্থানীয় জামে মসজিদ, ভাঙ্গারমুখ লঞ্চঘাট সহ ২৫ টি বসত ঘর চরম হুমকির মুখ রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী মজিদ বেপারি জানান, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কোনরকম দিন কাটছিলো। কিন্তু সন্ধ্যা নদী এক নিমিসেই সবকিছু শেষ দিল আমাদের। ভিটা-মাটিটুকু কেড়ে নিয়ে আমাদের পথে বসিয়ে দিল। এখন সন্তানদের নিয়ে আমরা কোথায় যাব।
ভুক্তভোগী আজিজ বেপারি জানান, রাত ১১ টার দিকে হঠাৎ করে গাছ-পালা ও ঘর বাড়ি দেবে যাচ্ছিল। সরানোর কোনো সুযোগ আমরা পাইনি।
ওই এলাকার নাজমুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে ঝুপঝাপ করে শব্দ শুনতে পাই। দেখে মনে হলো এখানে ২০০ হাত পানি হয়ে গেছে। তারপর অনেক জায়গা নিয়ে বসে যাচ্ছে। ভুক্তভোগী পরিবারের কোনো মাল জিনিস সরানোর সুযোগ দেয়নি। সরকারের প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
সন্ধ্যা নদীর গর্ভে বিলীন হওয়া ভুক্তভোগী চার পরিবারের মজিদ বেপারি, আজিদ বেপারি, সালেক বেপারি ও বারেক বেপারি সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে সাহায্যের জন্য আহ্বান জানান।
জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান খান হিমু বলেন, সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে ওই এলাকার দুটি বিদ্যালয় সহ অনেক বসত বাড়ি। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রতি ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে জোড়ালো দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন । ওই এলাকার চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে ও পানি উন্নয়ন বোডের্র সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।