নিউজ ডেস্ক :: বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার উত্তর সাতলা সততা মৎস্য ঘেরের মাছ লুটের পরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে। বিভিন্ন মোবাইল ফোনে মাছ লুটের পরিকল্পনার তথ্যের ভিডিও ফাঁস হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আতিয়ার রহমান, নুহু মিয়া, আইয়ুব আলী, নজরুল ও ওহাব আলী মিলে বৃদ্ধ শিরাজকে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ চুরির পরামর্শ দেন। এদিকে সততার পরিচয় দেয় বৃদ্ধ শিরাজ। সে অকপটে স্বীকার করলো তাকে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মুড়িবাড়ি উত্তর সাতলা সততা মৎস্য ঘেরের মাছ ধরার নির্দেশ দেন তারা। যার ভিডিও বক্তব্য বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ফাঁস হয়েছে।
মুড়িবাড়ি উত্তর সাতলা সততা মৎস্য ঘেরের সভাপতি মোঃ মিন্টু মিয়া সাংবাদিকদের জানান- ইতিপূর্বে আইয়ুব আলী ও নুহু মিয়ার নেতৃত্বে মৎস্য ঘের দ্বন্দ্বে বিএনপির অফিস ভাংচুর, লুটপাট করে এবং আমার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। এছাড়া আমার উপর হামলার ঘটনায় মামলা করায় আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তারা বিভিন্ন লোকজন দিয়ে ইতিপূর্বে ঘেরের মাছ চুরি করিয়েছে। বর্তমানে পুনরায় মাছ লুট করার পায়তারা চালাচ্ছে। এছাড়া তারা বড় ধরনের সংঘর্ষের সৃষ্টি করতে চায়।
উল্লেখ্য- গত ১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) কাঞ্চন মোল্লা বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় হামলা, বিএনপির অফিস ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা ও জোড়া খুনের অন্যতম আসামি মোঃ মিজান মিয়া, মাওলানা রহমাতুল্লাহ বিশ্বাস, মোঃ শাহাদাৎ মিয়া,মোঃ নুহ মিয়া, মোঃ শিরাজ মিয়া, মোঃ হাকিম মিয়া, মোঃ মনির বিশ্বাস, মোঃ মনির মিয়া, মোঃ মামুন হাওলাদার, মোঃ রুহুল মিয়া, মেহেদী হাসান বিশ্বাস, দুখু মিয়া, এস রহমান মিয়া, মোঃ নজরুল মিয়াসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
সূত্রে আরো জানা যায়- উপজেলার মুড়িবাড়ি উত্তর সাতলা সততা মৎস্য ঘেরটি নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের কবল থেকে দখলমুক্ত করে সাতলা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিন্টু মিয়া প্রকৃত জমির মালিকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে ২৬শত মণ বিভিন্ন প্রজাতির পোনামাছ চাষ করেছে এবং রীতিমত মাছের খাবার ও পরিচর্যা করে তারা। ওই ঘেরটি পুনরায় জোরপূর্বক দখল করার জন্য গত ১১ জুন বেলা ১১ টায় সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মিজান মিয়া তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সততা মৎস্য ঘেরের সভাপতি ও সাতলা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিন্টু মিয়াসহ ৬ জন আহত হয়েছিলো। এছাড়া বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা ও লুটপাট চালায়। এতে নগদ অর্থসহ প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়। অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি।
এদিকে মাছ লুটের ঘটনায় জড়িতদের অচিরেই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন উত্তর সাতলা সততা মৎস্য ঘেরের প্রকৃত মালিকরা।