নিজস্ব প্রতিবেদক :: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ শামসুল হকের বিরুদ্ধে অফিস চলাকালীন সময়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এসে সাংবাদিক পরিচয়ে তথ্য সংগ্রহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার সময় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর রসোরঞ্জন এর কাছে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কতটি পোষ্ট খালি আছে এই বিষয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তথ্য জানতে চান মোঃ শামসুল হক।
এই সময় উপস্থিতিরা শামসুল হকের কাছে জানতে চান অফিস চলাকালীন সময়ে আপনি এখানে কেন। আপনারতো এই সময় স্কুলে থাকার কথা। তখন শামসুল হক দ্রুত দৌড়ে শিক্ষা অফিস থেকে বের হয়ে যান এবং অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন। স্থানীয়রা তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করতে চাইলে তিনি দ্রুত পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান, শামসুল হক তার ব্যক্তিগত মটর সাইকেলে পত্রিকা অফিসের স্টিকার লাগিয়ে স্কুল ফাঁকি দিয়ে উপজেলার সর্বত্র ঘুরে বেড়ান।
বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাবুল হোসেন জানান, পারিবারিক সমস্যার কথা বলে শামসুল হক ছুটি নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ২০২২ ও ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী এমপিও ভুক্ত কোন শিক্ষক-কর্মচারী একই সঙ্গে আর্থিক লাভজনক ও চাকরিতে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। এতদিন অভিযোগ পাইনি তাই ব্যবস্থা নেইনি। এখন অভিযোগ পেয়েছি এবং ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলান জানান, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তাৎক্ষনিক শামসুল হকের সাথে উপজেলা পরিষদের মধ্যে দেখা হলে এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন স্যার আমি ছুটিতে আছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন অফিস সহকারী হয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে অফিসে আসা এবং তথ্য চাওয়াটা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।