নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল জেলা স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে আলোচিত সমালোচিত পাপিয়া জেসমিনকে পদায়ন করার পর হতেই বরিশাল জিলা স্কুলে ঘটতে থাকে বিভিন্ন ধরনের অঘটন। স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার মান ক্রমান্বয়ে অবনতি ঘটতে থাকে।বরিশাল জিলা স্কুলটি পরিণত হয় বিভিন্ন চুরি ও অঘটনের অভয়াশ্রম। এ কয় দিনের ভিতরেই বরিশাল জিলা স্কুলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও সামগ্রী চুরি হয়ে গেছে এবং চূরি অব্যাহত রয়েছে ৫ ই আগস্ট এর পরে ফ্যাসিস্টের পতন হওয়ার হয় এবং পাপিয়ার পতন হওয়ার পরেও অদ্যবধি।
চুরি হওয়া মালামাল এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মালামাল হচ্ছে প্রায় চারশত কেজির ওজনের লোহার গেট, জিএফসি স্টান্ড ফ্যান, প্রধান শিক্ষকের বাসভবনের সিসি ক্যামেরা, মসজিদে এসির পাইপ, প্রধান শিক্ষকের বাসভবনের এসির আউটলেট,স্টোর রুমে রাখা বিভিন্ন লোহা লক্কর।এছাড়াও বিদ্যালয়ের তিনজন সরকারি কর্মচারী বিদ্যালয়ের লোহার বেঞ্চ কেটে কেজি দরে বিক্রি করেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে এ সব চুরির ঘটনায় বিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীরা জড়িত রয়েছে।এছাড়াও স্কুলের সম্পত্তি দখল করে কয়েকজন কর্মচারী নিজস্ব ঘর উঠিয়ে বসবাস করছে।
অভিভাবক এবং সচেতন মহল মনে করছে যদি তাদের এ সব ঘর উচ্ছেদ করা না হয় অদূর ভবিষ্যতে স্কুলের জমি বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিভাবক ও শিক্ষকগণ বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি ও পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং চুরি হওয়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন এবং ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয় একজন পূর্ণ প্রধান শিক্ষক পদায়নেরও দাবি জানান তারা।এসব ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রশাসন চুপ থাকায় ও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় চুরির ঘটনা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপরোক্ত চুরির ঘটনা ছাড়াও আরো ৫০ টি পুরাতন ফ্যান চুরি করে ভাংগারি দোকানে বিক্রি করেছে এই চক্রটি।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, কতিপয় আ'লীগ বরিশাল মহানগর নেতারা প্রায় দুই বছর পূর্বে বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ নুরুল ইসলামকে বিভিন্ন মিথ্যা প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বদলি করে আ'লীগের বরিশাল মহানগর নেতা ও বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক এর সহধর্মিনী আলোচিত সমালোচিত পাপিয়া জেসমিনকে বরিশাল জিলা স্কুলে প্রদান শিক্ষিকা হিসাবে পদায়ন করা হয়।
বরিশাল জিলা স্কুলের ছাত্র অভিভাবক ও ছাত্ররা প্রতিবেদককে বলেন তাদের সুযোগ্য ও বিদ্যালয় উন্নয়নের রূপকার সাবেক প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ নুরুল ইসলামকে রাজনৈতিক হয়রানি মূলক বদলি করায় তাকে যাতে করে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় তার জোর দাবি জানান তারা।
বরিশাল জিলা স্কুলের উপরোক্ত
ঘটনা এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশের বিষয়ে জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এর কাছে ফোন করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তিনি আরো বলেন দুর্নীতিবাজ যে হোক না কেন দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে খুব দ্রুত ব্যবস্থা হবে ।
বরিশাল জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা অনিতা রানী হালদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উপরোক্ত ঘটনার সদুত্তর দিতে পারেনি এবং অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন।ঐ সব কর্মচারী একই বিদ্যালয়ে প্রায় ২৫ বছর কর্মরত থাকায় কোন প্রধান শিক্ষককেই তারা কিছুই মনে করে না এবং ইচ্ছেমতো চলাফেরা করেন তারা।