নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের সাবেক এসপি ওয়াহিদুল ইসলামসহ আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জমি দখল–ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ।
আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা কারি ও হামলা মামলার কারিগরা অন্যের জমি দখল! বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ
বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবময় ইতিহাস ক্ষুণ্ন করেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। এই বাহিনীকে দলিও করনে মাধ্যমে এই বাহিনীকে পেটুয়া,দখলদার বাহিনীতে রুপান্তর করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পুলিশ পরের জমি দখল সহ নানা বিধি অপরাদে জড়িয়ে পরে। নৈতিক অবক্ষয় হয় পুলিশের তারি ধারাবাহিকতায় অন্য জনের জমি দখলে নিতে উঠে পরে লেগেছে বরিশালের সাবেক এসপি মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম (বিপিএম),বরিশাল জেলা প্রধান সরকারি মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান,শ্রী সুবিমল ঢালী, এস আই মাজিদুল ইসলাম সহ অনেকেই । তারা সকলেই ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,শ্রমিক লীগকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ! অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রয়েছে বহাল তবিয়তে।
অথচ অদৃশ্য শক্তির বলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এ সকল কর্মকর্তা। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পুরো আমল জুড়ে এ সকল কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থেকে ফয়দা লুটেছেন। এসপি মোঃ ওয়াহিদুল ইসলামের সাথে সাবেক মন্ত্রী ও আইজিপি সচিবের সহ আওয়ামীলীগের নেতাদের সঙ্গে ছিল নিবিড় সম্পর্ক। এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দিলে আমল নিতো না কেউ কারণ আওয়ামী লীগের প্রিয়জনের তালিকায় তিনি । আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা বতর্মানেও ছাত্র জনতার মহান উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এখনো সক্রিয় রয়েছেন।
সূত্র জানায়, স্বৈরাচার সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের একটি অংশ এ কর্মকর্তা যে কোন উপায় পৌঁছে দিতেন সাবেক মন্ত্রী ও আইজিপি সচিবের কাছে।সাবেক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের অনেক দোসরদের সঙ্গে এ কর্মকর্তার প্রতিনিয়ত যোগসাজস রয়েছে বলে সূত্র থেকে জানা গেছে। নামে বেনামে রয়েছে সম্পদের পাহাড়! সকল অপরাধ থেকে রেহাই পেয়ে যায়। আওয়ামী লীগের অনুসারী হওয়ার সুবাদে এই কর্মকর্তা।ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে শুর পাল্টে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যায় ।তাই এখনও চাকুরীতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এ কর্মকর্তা।
বরিশালের সাবেক এসপি মোঃ ওয়াহিদুল ইসলামকে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বৈষম্য বিরুদ্ধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাম না প্রকাশ সত্ত্বে বলেন বলেন, এই পুলিশ কর্মকর্তা বরিশালে থাকাকালীন সময় বিরোধী মতের লোকজন ধরে বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে র্নিযাতন করত। অন্যর জমি দখল এটাতো একটি সামান্য ঘটনা। ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,শ্রমিক লীগকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ! থাকা সত্ত্বেও
রয়েছে বহাল তবিয়তে। আওয়ামী লীগের লোক! হওয়ার সুবাদে সুবিধা জনক স্থানেই চাকরির বেশি ভাগ সময় পার করেছেন।
তার নিজ এলাকায় একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীত সাথে জড়িত তার পরিবার। ছাত্র অবস্থায় ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা সত্য। একথা গুলো তার নিজ এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জানাযায়। আওয়ামী লীগের তথ্য সন্ত্রাসী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।এদের মূল উদ্দেশ্যই হলো ছাত্র জনতার মহান উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অবৈধভাবে অন্যের জমি দখল এটা কোন ছোট্ট অপরাধ নয়। দুর্নীতি কখনো ছোট বড় নয় দুর্নীতি তো দুর্নীতিই সেটি যেমনই হোক। ছোট ছোট দুর্নীতি থেকেই বড় বড় দুর্নীতির জন্ম দেয়। দুদক আগের চেয়ে ভালো কাজ করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। দুদকের দুর্নীতির বিষয়ে আর বিশদ অনুসন্ধান প্রয়োজন। একইসঙ্গে দুদকের জনবলেরও ঘাটতি রয়েছে সেগুলোর সমাধান প্রয়োজন। কেননা যে তুলনায় দুর্নীতির অভিযোগ আসে সেই তুলনায় দুদক অনুসন্ধান করতে পারে না। যদি সকল দুর্নীতি দুদক অনুসন্ধান করতে পারতো তাহলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে আসত। তবে আমরা আশাবাদী দুর্নীতিবাজদের শিকড় উপড়ে ফেলা সম্ভব সেটি একদিন হবেই।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বলেন,আমরা অনেক দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছি।অভিযোগ পেয়েছি সেটা তদন্তের মাধ্যমে আইন আনুগব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। যারাই অপরাধ করুক না কেন আমাদের অনুসন্ধানে যদি কোনোভাবে প্রমাণিত হয়।তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব এবং প্রয়োজনীয় যত ব্যবস্থা আছে তা নেব। কোনো দুর্নীতিবাজকে ছাড় দেওয়া হবে না।দুর্নীতি দমন কমিশন,স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিআইজি বরিশাল সহ সকল দপ্তরের অভিযোগ দাখিল করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগে যা উল্লেখ রয়েছে তা পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো,বাদীঃ- শেখ আনোয়ার হোসেন(৬৩) পিতাঃমৃত- কালু শেখ, সাং-কাটপট্রি রোড, থানা-কোতয়ালী জেলা-বরিশাল ।
বিবাদীঃ ০১। পুলিশসুপার মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম বিপিএম বিপি নং-৭৮০৬১১০৭৪৩ (সংযুক্ত রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিস) পূর্ববর্তী কর্মস্থল পুলিশ সুপার বরিশাল, ০২। পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) শ্রী সুবিমল চন্দ্র ঢালী বিপি-৭০৮৮০৬২৬১৪ জেলা পুলিশ লাইন বরিশাল, ০৩। পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ মাসুদুজ্জামান বিপি-৭০৯৫০৪৮৭৭৫ ক্রাইম শাখা বরিশাল জেলা, ০৪। এএসআই/মোঃ স্বপন স্টেট শাখা বরিশাল জেলা, ০৫। নায়েক/১০১৬ মোঃ মোকলেছ বিপি-৮৯০৮১৪৫৬৬৩ পুলিশ লাইন বরিশাল জেলা, ০৬। কনস্টেবল/১৫৭৭ মোঃইমাম হাসান বিপি-৯৯১৮২১৭৭৭১ জেলা পুলিশ লাইন বরিশাল, ০৭। মোঃ ইমন খান পিতাঃ মৃতআব্দুস ছাত্তার খান, সাং লাইনরোড, থানা কোতয়ালী জেলা-বরিশাল, ০৮। রাশেদুল ইসলাম পিতাঃ সেলিম খান, সাং-লাইনরোড থানা-কোতয়ালী জেলা-বরিশাল, ০৯। মোঃ জামাল হোসেন পিতাঃ মৃত হায়দার আলী হাওলাদার, সাং-আশিয়ার, পোঃ নবগ্রাম, থানাঃ ঝালকাঠি, বর্তমান ঠিকানা-লুৎফর রহমান সড়ক আসাদুজ্জামান এর বাসার ভাড়াটিয়া বরিশাল, ১০। মোঃ সিদ্দিকুর রহমান প্রধানসহকারী জেলা পুলিশ সুপার এর কার্যালয় বরিশাল, ১১। এসআই (নিঃ) মোঃ মাজেদুল ইসলাম, বিপি- ৮৫০৪০০৩১০৩, কোতয়ালী মডেল থানা, বিএমপি, বরিশাল।
আমি উপরোক্ত বিবাদীগনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ প্রদান করছি যে, আমার নিজ নামীয় সম্পত্তি যাহার তফসিল সম্পত্তির পরিচয়- জেএল নং-৫০,মৌজা-বগুড়া আলেকান্দা, এসএ খতিয়ান নং-৭৫৯১ আর,এস খতিয়ান নং-৩৫৬৯ বিএস খতিয়ান নং-৫৫৯৮ ডিপি-৭০৮ এসএ দাগ নং-৩৬৫৫ জমির পরিমাণ ০৫(পাঁচ) শতাংশ। যাহার অবস্থান লাইন রোডস্থ বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসের দক্ষিণ সীমানায়। হোল্ডিং নং-১৪৩১-০০০ খাজনা পরিশোধ হাল সন ১১/০২/২০২৪খ্রিঃ। এবং উক্ত জায়গায় পূর্বে একখানা ঘর ছিল বর্তমানে ঘরটি নষ্ঠ হয়ে গেছে কয়েকটি গাছপালা এখনও দন্ডায়মান আছে।
আমার ব্যাক্তিগত টাকার প্রয়োজনে উক্ত ০৫(পাঁচ) শতাংশ জমি বিক্রির প্রস্তাব দিলে ০১। মোঃ আবুল বসার ০২। মোঃ নজরুল ইসলাম ০৩। মোঃ সাদিকুর রহমান ০৪। শাহনাজ পারভীন ০৫। আয়শা আক্তার ০৬। মোঃ আনোয়ার হোসেন ০৭। মোঃ হুমায়ুন কবীর ০৮। শহিদুল ইসলাম ০৯। তানভীর হক সরদার সর্বমোট ০৯ (নয়) জন উক্ত জমি ক্রয় করিতে রাজি হয় এবং দাম ধার্য্য হয় আমার জায়গাটি আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে মর্গেজ থাকায় ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করে রিডামশনের মাধ্যমে গত-১৩/০২/২০২৪খ্রিঃ বরিশাল সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের মাধ্যমে দলিল নং-২৩৭৪ মূলে তাহাদের নামে সাব-কবালা দলিল রেজিষ্ট্রি করিয়া দেই এবং তাহারা নামজারী মামলা নং-১৬৯৬৮/২০২২-২০২৩খ্রিঃ মূলে তাহাদের ০৯ জনের নামে একটি নতুন খতিয়ান সৃজিত হইয়া প্রত্যেকের নামে অংশানুযায়ী রেজর্ড সংশোধন হয়। যাহার খতিয়ান নং-২৫৬৬০।
আমি ইতি পূর্বে আমার চলাচলের পথের সমস্যার জন্য মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে একাখানা আবেদন করি এবং সেই আবেদনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাকেরগঞ্জ সার্কেল এসপিকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদেশ দেন সেই আদেশ অনুযায়ী বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিসার জনাব মোঃ আনোয়ার সাঈদ স্মারকনং-বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিস/৬০৫তারিখ-০১/০৫/২০১৯খ্রিঃ মূলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে গত-০৬/১১/২০২৩খ্রিঃ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর জমি মাপের জন্য একখানা আবেদন করা হয় এবং উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ সুপার স্মারক নং-পুঃঅঃবরিঃ(প্রশাঃ)/২০২৪/৭০৩/ই তারিখঃ-০৪/০২/২০২৪খ্রিঃ মূলে নির্বাহী প্রকৌশলী,গণপূর্ত বিভাগ,বরিশাল এর বরাবর জমির ম্যাপ বুঝাইয়া দেওয়ার জন্য একখানা চিঠি প্রদান করেন।
এছাড়াও আমি গত-০৫/০২/২০২৪খ্রিঃ নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ,বরিশালকে জমি মাপের জন্য একখানা আবেদন দাখিল করি। সর্বশেষ আমি গত-০৫-০৩-২০২৪ খ্রিঃ জমি মাপার জন্য বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর একখানা দরখাস্ত দাখিল করি এবং সেই মোতাবেক বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি শাখা থেকে স্মারক নং-বিসিসি/সম্পত্তি/২০২৪/২২২ তাং-২০/০২/২০২৪খ্রিঃ। উক্ত চিঠিতে জমি পরিমাপের জন্য ২৭/০২/২০২৪খ্রিঃ সকাল ১০.০০ ঘটিকায় সময় ধার্য্য করেন এবং উক্ত সময় উপস্থিত থাকার জন্য বিসিসি ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ন কবির লিংকু, নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ,বরিশাল, পুলিশ সুপার বরিশাল জেলা, সার্ভেয়ার মোঃ নাসিরউদ্দিন, সম্পত্তিশাখা, বিসিসি, বরিশালকে উক্ত ধার্য্যকৃত সময় উপস্থিত থাকার জন্য জানান এবং সেই অনুযায়ী তাহারা এবং উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকিয়া সকলের উপস্থিতিতে সরকারী গেজেটেট এস,এ নকশা অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের সার্ভেয়ার জমি পরিমাপ করে সকলের সম্মুখে সীমানা নির্ধারন করে জমির চতুর দিকে সীমানা পিলার দিয়ে দেন।
তার পরবর্তীদিন ২৮/০২/২০২৪খ্রিঃ জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম এর বরাদ দিয়ে বিবাদীগণ এর মধ্যে মুখ্য ভুমিকায় প্রধান সহকারী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান আমাকে এবং আমার কয়েকজন গ্রহীতাকে সাথে নিয়ে দেখা করতে বলেন এবং বলেন জমি সংক্রান্তে আপনাদের সাথে জরুরি কথা আছে তখন আমি এবং আমার কতিপয় ক্রেতাগণকে নিয়ে আমার বন্ধু আনোয়ারের পপুলার ডায়াগনষ্টিক ল্যাব বগুড়া রোড মসজিদ সংলগ্ন এর দোতলায় একটি রুমে বসি তখন তিনি আমাদের সকলের উপস্থিতিতে বলেন যে,এই জমি আপনারা ভোগ করতে পারবেন না তখন আমি বললাম কেন? আমার সকল কাগজপত্র সঠিক আছে তাহলে কেন ভোগ করতে পারবোনা। তখন তিনি প্রতিউত্তরে বলেন আরে ভাই জমির কাগজপত্র থাকলেই কি জমি ভোগ-দখল করা যায় পুলিশের পাশের জমি ভোগ-দখল করা কি এতো সহজ মনে করছেন প্রতি উত্তরে আমি বলি কেন তাহলে আমার কি করনীয় তখন প্রধান সহকারী সিদ্দিকুর রহমান বলেন এসপি ওয়াহিদুল স্যারকে ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা এবং ০১(এক) টি ফ্লাট দিতে হবে তাহলে আপনাদের জমি ভোগ-দখল এবং রাস্তার কোন সমম্যা থাকবেনা। তখন আমি আমার ক্রেতাগনকে বিষয়টি বল্লে তাহারা উক্ত প্রস্তাবে রাজি হয়নি সেই কথাটা আমি তাকে বল্লে তিনি আমার উপর রেগে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয় এবং বলেন জমিতো ভোগ করতে পারবেনই না আরো কত সমস্যা হয় দেখেন। তার পরবর্তী দিন উপরোল্লিখিত বিবাদীগন ছাড়াও স্থানীয় ক্যাডার আরো ১০(দশ) জন অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এসে জমির সমস্ত পিলার তুলে ফেলে এবং ঘর করার জন্য যে কাঠ ও অন্যান্য মালামাল ছিল যাহার মূল্যমান প্রায় ০১(এক) লক্ষ টাকা তাহা লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারিনি কারন আমাকে কোতয়ালী থানায় ডেকে নিয়ে ওসির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায় সর্বোপরি আমাকে ক্রোস ফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং আমার জমির দক্ষিণ-পূর্ব দিক চলাচলের জন্য ০২(দুই)টি পথ ছিলো সেটা ও অবৈধভাবে দেয়াল নির্মাণ করে বন্দ করে দেয়। আমি এবং আমার ক্রেতাগণ আরো ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পরি।
পরবর্তীতে দেশ পুনরায় স্বাধীন হওয়ার পর গত-১০/০৮/২০২৪খ্রিঃ ক্রেতাদের জমি বুঝাইয়া দেওয়ার জন্য আমার জমিতে গিয়ে দেয়ালের কাজ করার সময় জেলা পুলিশ সুপারের স্থানীয় কয়েকজন ক্যাডার আমার জমির কাগজপত্র দেখতে চায় আমরা তাদের সকল কাগজপত্র দেখাই এবং সকল কাগজপত্রের ফটোকপি দেই তখন তারা আমাকে কিছুদিন পরে কাজ করতে বল্লে আমি কাজ বন্ধ করে দেই। তারপর গত-১৫/০৮/২০২৪খ্রিঃ রাত আনুমানিক ৯ঘটিকার সময় থানায় উভয় পক্ষ বসার জন্য তলব করলে আমি এএসপি সার্কেল মোঃ নাফিছুর রহমান স্যারকে সকল কাগজপত্র দেখাই তখন তিনি উক্ত সমস্যা সমাধান করে দিবেন বলে জেলা পুলিশ সুপারকে মোবাইলে ফোন করেন এবং তার কাছ থেকে ৩(তিন) দিন সময় নেন এবং বলেন আমি গণপূর্ত এবং ডিসি অফিসকে সঙ্গে নিয়ে এই জমি পরিমাপ করে দিবো। তখন এএসপি সার্কেল স্যার মিমাংশার ব্যাপারে মেট্রোর সিনিয়ার অফিসারকেও অবগত করেন। তখন এএসপি সার্কেল স্যার আমাদের উভয় পক্ষকে চলে যেতে বলেন তার কথা মতো আমরা বাসায় চলে যাইা কিন্তু জেলা পুলিশ সুপার মিমাংশায় রাজি হওয়ার পরেও তাহার কয়েক ঘন্টা পরে আমি এবং আমার ০৯(নয়) জন ক্রেতাসহ মোট ১০(দশ) জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যহার মামলা নং-২১ তারিখঃ-১৫/০৮/২০২৪খ্রিঃ ধারা-দঃবি ১৪৩,৪৪৭,৩৭৯ ধারা জিআর মামলা নং-৫৪৭/২০২৪খ্রিঃ। আমি এবং ক্রেতাগণ পরবর্তী দিন মামলা সংক্রান্তে জানতে পেয়ে ১৮/০৮/২০২৪খ্রিঃ বিজ্ঞ চীপ মেট্রো পলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন লাভ করি।
বিবাদীদের সকল কৃতকর্মের বিবরণ ধারাবাহিকভাবে বর্ননা করা হলঃ- ০১নং-বিবাদী- তিনি ফ্যাসিষ্ট স্বৌরাচারী সরকার শেখ হাসিনার দোষর হিসাবে বরিশাল জেলায় বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন। যেমন ০১। স্বতন্ত্র জেলা পুলিশ লাইনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মান ০২। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের কাছ থেকে যে পরিমান টাকা নিয়েছে ফোর্সের মাঝে তা সঠিকভাবে বিতরণ না করে নিজেই মুষ্টিমেয় টাকা আত্মসাৎ করেন। ০৩। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রত্যেক কেন্দ্রের ইনচার্জদের নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এ ছাড়াও তিনি বরিশালে কর্মরত থাকাকালীন স্থানীয় কিছু অসাধু সাংবাদিক দালাল হিসাবে ব্যবহার করে তাদের মাধ্যমে অধস্থন কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়ম বহির্ভূত বদলী বানিজ্য ও স্থানীয় জমি-জমার দ্বন্দের সমাধান করে অগাধ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ডাইরেক্ট প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার বড়াই দিয়ে এমন কিছু নাই যাহা করেনি তাহার বাড়ি গোপালগঞ্জ বেল্ট মাদারীপুর জেলা তিনি সরকারের বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করেন তার মধ্যে অন্যতম বিপিএম পদক, ইতিপূর্বে তিনি ডিসি তেজগাঁও ঢাকা কর্মরত ছিলেন সেখানেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের অবৈধ হুকুম পালনের মাধ্যমে অগনিত নিরিহ মানুষের জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি করছেন এবং জুলাই-আগষ্ট/২৪ মাসে ছাত্র জনতার আন্দোলনে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে মারাত্মকভাবে আহত ব্যাপক হয়রানী করেছেন। তিনি সর্বনিম্ন টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি ব্যবহার করেন। তার নিজ এলাকায় এবং ঢাকা মোহাম্মদপুরে নামে-বেনামে ফ্লাট ও অসংখ্য জমির মালিক। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি সংক্রান্তে ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে।
০২নং বিবদী- শ্রী সুবিমল ঢালী তিনি জেলা পুলিশ সুপারের খুব কাছের লোক হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি এসপি সাহেবের সকল এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তাকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন তিনি তার বরাত দিয়ে জুনিয়র পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও তাহার নিজ নামে কাউনিয়া বরিশাল ফ্লাট ও নামে বেনামে অনেক জমি জমা রয়েছে।
০৩নং বিবদী- পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ মাসুদুজ্জামান বিপি-৭০৯৫০৪৮৭৭৫ ক্রাইম শাখা বরিশাল জেলা তিনিও এসপি সাহেবের সকল এজেন্ডা বাস্তবায়নের সহায়তাকারী গত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অগনিত থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন এবং এমপি আমির হোসেন আমু, এমপি তোফায়েল আহম্মেদ, এমপি পঙ্কজ দেবনাথ, এমপি আউয়াল আরো অনেক এমপিদের হুকমে অসংখ্য সাধারন মানুষের ক্ষয়-ক্ষতি করেছেন সেই সুবাদে তিনি কোটি কোটি টাকার পাহাড় বনে গেছেন। তার নিজ বাড়ী বরিশাল বাকেরগঞ্জ থানায় কিন্তু তিনি বরগুনা জেলা থেকে চাকুরীতে যোগদান করে নিজ জেলা বরিশাল দ্বৈত ঠিকানা ব্যবহারকারী বিভিন্ন থানায় তার প্রভাব দেখিয়ে পাহাড় সমান ঘুষ বানিজ্য করে নামে বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক বনে যান।
১০নং বিবাদী- সিদ্দিকুর রহমান জেলা পুলিশ সুপার ওয়াাহিদুল ইসলামের সকল গোপন অবৈধ সরকারী বিলের স্বাক্ষী এবং এসপি সাহেবের অবৈধ টাকা আয়ের তথ্য প্রদানকারী তিনি তার সুবাদে বিপুল পরিশাণ অবৈধ সম্পদের মালিক তিনি নামে বেনামে অনেক জমি-জমা ক্রয় করেছেন। তিনি তার ছেলেকে হলিফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজ ভর্তিতে চাঞ্চ পাওয়ার জন্য ২৫,০০,০০০/- (পচিশ) লক্ষ টাকা ঘুষ প্রদান করেন। বানারীপাড়া বাজারের আগে মূল রাস্তার পাশে বিশাল আলিশান বহুতল বঙন নির্মান করেন যাহা কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করেছেন। যাহার ছবি সংযুক্ত।
১১নং বিবাদী- এসআই (নিঃ)/মোঃ মাজেদুল ইসলাম তিনি আমাদের মামলার আই,ও আমি এবং আমার ক্রয়কৃত জমির ক্রেতাগন সহ মোট ১০ (দশ) জনের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) শ্রী সুবিমল পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় যে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন সেই মামলার আই,ও। ফৌজদারী মামলা ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করার আইন থাকা সত্ত্বেও প্রায় ০৭(সাত) মাস পরে তিনি বাদীর কাছ থেকে সুবিধা গ্রহন করে এবং তাদের সিনিয়ার অফিসার জনাব ওয়াহিদুল ইসলাম বিপিএম (সংযুক্ত রংপুর রেঞ্জ অফিস) জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শরীফ উদ্দিন সহ আরো উদ্ধোর্তন কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাদের নামে মিথ্যা চার্জশিট দাখিল করেন। বিশেষ করে জেলা পুলিশ সুপার উক্ত মামলা দায়েরের হুকুমদাতা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম সাহেবের ২৫তম বিসিএস এএসপি ব্যাচের ব্যাচমেইড ফলে তিনি ব্যাচমেইডকে বাঁচানোর জন্য যতটুকু ক্ষমতা প্রয়োগ করা প্রয়োজন সবটুকুই ব্যবহার করেছেন (তাহা আই, ও এসআই মাজেদের কল রেকর্ড শুনলেই স্পষ্ঠ বোঝা যাবে) আমাদের কাছে বিভিন্নভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে টাকা ঘুষ চাইলে আমারা তাকে টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তিনি মিথ্যা ভিত্তিহীন একটি চার্জশিট দাখিল করেন। উক্ত চার্জশিটে তিনি স্পষ্ঠ উল্লেখ করেছেন যে তাদের বাউন্ডারীর মধ্যে গণপূর্তের ৪৫.৪০ শতাংশ এবং বিবাদীদের ০৫ (পাঁচ) শতাংশ জমি আছে এবং বিল্ডিংটি বর্তমানে গণপূর্তের অধীনে নির্মানাধী তাহা মামলার এজাহারে স্পষ্ঠ উল্লেখ আছে তাহলে বাদী কিসের বলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলো। বিবাদীদের জমি থাকলে বিভাবে তাদের নিজ জমিতে প্রবেশ করলে অনধিকার প্রবেশ হয় এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের পরিমাপের পর যে সীমানা পিলার দেয়া হয়েছিল সেখানে স্পষ্ট বিবাদীদের জমির ভিতরে গাছগুলো রয়েছে তাহলে ৫০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা মুল্য মানের ক্ষয়ক্ষতি দেখালো তদপরি বে-আইনি জনতা কি করে প্রমাণ করলেন এটাই মহোদযের কাছে মজলুম বিবাদীদের প্রশ্ন। প্রকাশ থাকে যে উক্ত চার্জশিট প্রদান কালে সকল স্বাক্ষীদের লিখিত জবানবন্ধী নেওয়া হয়েছে (১৬১ সেখানে স্বাক্ষীরা স্পষ্ঠ উল্লেখ করেছেন যে আনোয়ার হোসেনের জমি আছে। যাহার চার্জশিট ও অডিও কল রেকর্ড (উক্ত মামলার ০১ নং বিবাদী এবং উক্ত মামলার আই,ও এসআই (নিঃ)/মোঃ মাজেদুল ইসলাম) সংযুক্ত রহিয়াছে।
এছাড়া পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম সাহেবের বরাত দিয়ে ১১ (এগারো) নং বিবাদী বাদে বাকী সকল বিবাদী গণ আমাদের বৈধ দেয়াল নির্মান কাজে বাধা দেয় এবং ১০ (দশ) লক্ষ টাকা সহ ০১টি ফ্লাটের বিষয়ে মেনে নেওয়ার জন্য আমাদের হুমকি-ধামকি সহ ন্যাক্কারজনক আচরণ করে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেন এবং উক্ত কাজে ব্যবহৃত প্রায় লক্ষাধিক টাকার ইট, বালু, সিমেন্ট, রড ফিল্মের ভিলেনের কায়দায় লুট পাট করে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে যখন আমি তার ঘুষ প্রস্তাবে রাজি না হই তখন তার ব্যক্তি স্বার্থে ব্যাঘাত সৃষ্টি হলে তিনি আমাদের সকলের বিরুদ্ধে দলিল মূলে আমি বিক্রেতা সহ একটি মিথ্যা ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন এবং এই মিথ্যা অভিযোগ টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি আমার ব্যক্তি মালিকানা জমি সরকারী পুলিশের জমি বলে সরকারের সহায়নুভূতি নেওয়ার সমস্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ তাদের দাবিকৃত খতিয়ানের মালিক গণপূর্ত বিভাগ এর ভাষ্যমতে আনোয়ার শেখের জমির উপর তাদের কোন অভিযোগ নাই। বাকেরগঞ্জ সার্কেল অফিস বর্তমানে নির্মানাধীন গনপূর্ত বিবাগের অধীনে এখনও তারা পুলিশকে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করেন নাই। তাহলে তারা কোন বলে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলো এবং আমাদের কাজে বাঁধা প্রদান করলো। গনপূর্ত বিভাগ স্পষ্ট বলেছেন যে আমরা বিল্ডিং নির্মান কাজ শেষ হলে আমাদের সীমানা দেয়াল নির্মান কাজ করবো। কিন্তু জেলা পুলিশ সুপার ব্যক্তি আক্রোশের জেরে অন্যের জমির উপর পুলিশের বরাদ্ধের টাকা অবৈধ দেয়াল নির্মাণ কাজে ব্যায় করে সরকারী টাকার ক্ষতি সাধন করেছেন। গনপূর্ত বিভাগের ডিজিটাল প্লান এর বাহিরে দক্ষিন সীমানায় আমাদের জমি। গণপূর্তের ডিজিটাল প্লানের কপি সংযুক্ত করা হয়ে।