স্টাফ রিপোর্টার :: বরিশাল বিউটি সিনেমা হলের রেকর্ডীয় ও দখলীয় আমাদের সম্পত্তি অনেক দিন ধরে দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করে আসছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী মফিজুল ইসলাম (৬২) এর নেতৃত্বে তার লোকজন। এমন অভিযোগ এনে শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সৈয়দ আশিক চৌধুরীর স্ত্রী আমিনা বেগম সুমি (৩৩)। সৈয়দ আশিক চৌধুরী হলেন সৈয়দ জুলফিকার উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।
লিখিত আবেদনে অভিযুক্তরা হলেন- নগরীর কাউনিয়া প্রথম গলির বাসিন্দা কাজী মোকলেছুর রহমানের ছেলে আ.লীগ নেতা কাজী মফিজুল ইসলাম, পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা কাদের মল্লিকের ছেলে কালাম মল্লিক (৫৫) ও তার ছেলে রাকিব মল্লিক (২৪), কাউনিয়া মুন্সি বাড়ির মৃত মাওলানা আব্দুল মজিদের ছেলে আবুল হোসেন কুদ্দুস (৫৮), বিউটি রোডের বাসিন্দা এলেম খার ছেলে রাব্বী (২৭) ও আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে জাহাঙ্গীর (৫২)।
আবেদনকারী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন- বিউটি সিনেমা হল আমার শ্বশুরের সম্পত্তি। শ্বশুর আমার স্বামীকে বিউটি সিনেমা হলের জমি দলিলমূলে দেয়। যার রের্কডও আমার স্বামীর নামে। কিন্তু ১নং বিবাদী আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কাজী মফিজুল ইসলামের হুকুমেই অন্যান্য বিবাদীরা বিউটি বিউটি সিনেমা হল দখল করতে আসে। তারা এই জমি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। আমার স্বামী আশিক চৌধুরী ঢাকায় থাকায় আসতে না পারার কারণে আমি ঘটনাস্থলে গেলে বিবাদিরা আমাকে শ্লীলতাহানি করে এবং রেপ করে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
সৈয়দ আশিক চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, এ জমি নিয়ে আদালতের রায় আমাদের পক্ষে এসেছে এবং মামলা চলমানও রয়েছে। যেখানে আদালতের বিচারক বিরোধীয় জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে দায়েরকৃত চলমান মামলার কয়েকজন আসামিরা সহ কাজী মফিজুল ইসলাম ওরফে কে কে কামালের পালিত ক্যাডাররা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জমির সকল কাগজপত্র আমাদের নামে রয়েছে।
আবেদনকারী আমিনা বেগম সুমি বলেন, ঘটনাস্থলে যাবার পরও বিবাদিরা পুলিশের সামনে আমাকে গালাগালি সহ হুমকি দেয়। আর এই জমি নিয়ে উচ্চ ও নিম্ন আদালত সহ বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে। সেখানে অফিস আদালতের আইনের নিয়ম কানুন তোয়াক্কা করে বিবাদিরা বারবার জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর আমাদের বিরুদ্ধে আ.লীগ সমর্থিত বিবাদিরা বিএনপির এক আইনজীবীর মাধ্যমে বরিশাল আদালতে একের পর এক মামলা দায়ের করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কে কে কামাল হলেন- বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং আ.লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই এবং বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর শ্যালক। আ.লীগ শাসনামলে ক্ষমতা বলে কে কে কামাল তার ইচ্ছে মত সব করেছেন। বরিশালে একাধিক ব্যক্তির সাথে তার জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর নানা অপরাধে দায়েরকৃত মামলায় জেলহাজত খেটে এখন পালিয়ে জীবন-যাপন করলেও তার আ.লীগ সমর্থিত সাঙ্গপাঙ্গদের পেছনে বসে শেল্টার দিয়ে এখনও নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।