প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে ইসলামি ছাত্রশিবিরের কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বৈঠক করছিলেন। তখন মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালীর নেতৃত্বে বেশকিছু ছেলেপান সেখানে প্রবেশ করে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেখানে দুটি গ্রুপের লোকজনদের লাঠিসোটা নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এতে আশপাশ এলাকাসমূহে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত জখম হন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে সংঘাতে জড়ানোর নিয়ে দুটি ছাত্রসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা পরস্পরবিরোধী অভিযোগ করেছেন। এবং উভয় সংগঠনের কর্মীদের আহত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের বরিশাল জেলা সভাপতি মো. আকবর হোসেন এবং জেলা সেক্রেটারি সাইদ আহম্মেদ রূপালী বাংলাদেশের কাছে অভিযোগ করেন, ‘বুধবার গভীর রাতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শিবির অফিস ও সংগঠনটির অর্থ সম্পাদকের বাসায় হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং শিবির কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে অন্তত ২০ জনকে আহত করেছে, যাদের মধ্যে ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন, সেক্রেটারি বেল্লাল, কলেজ শাখা সভাপতি রিফাত মল্লিক এবং সেক্রেটারি কাওসার।
অবশ্য এই হামলার অভিযোগ স্বীকার করেন মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী। তার দাবি করেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গেলে শিবিরের কর্মীরা তাতে বাঁধা দেয়। এসময় প্রতিবাদ করায় ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তাদের সংগঠনের অন্তত ৫ কর্মী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মুলাদী থানা পুলিশের ওসি মো. সফিকুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর যেনো নতুন কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, সেই লক্ষে করা হচ্ছে। শিবির এবং ছাত্রদল উভয়গ্রুপই নিজেদের ওপর হামলার মৌখিক অভিযোগ করেছে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’