নিজস্ব প্রতিবেদক :: পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে কালো টাকার দৌরাত্ম্য কমবে সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হবে, ফয়জুল করীম।
ভোটের জন্য এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর (শায়খে চরমোনাই) মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনে যাওয়া কঠিন হবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসন যথাযথ ফাংশন করছে না। এই অবস্থায় নির্বাচন করতে গেলে প্রার্থীদের নিরাপত্তার ঝুঁকি থেকে যায়, এই ঝুঁকিতে কেন নির্বাচনে যাব, সেই প্রশ্ন আপনাদের কাছে রাখলাম।’
আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বরিশাল মহানগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে মিছিল শেষে আয়োজিত গণ-সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচন না হলে ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সমাবেশের প্রধান অতিথি মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘পিআর আমাদের দাবি। এর মাধ্যমে কালো টাকার দৌরাত্ম্য কমবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হবে।’
নির্বাচনের আগে জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা ইসলামপ্রেমী বা দেশপ্রেমী তাদের সাথে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতা হওয়ার খুবই সম্ভাবনা রয়েছে।’
মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম আরো বলেন, ‘জুলাই সনদ এখনো আইনি ভিত্তি পায়নি। সংস্কারের রূপরেখাও নির্ধারিত হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ:র সহকারি মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, বরিশাল বিভাগের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম এবং দলের কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন।
এছাড়াও সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগরের সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ লোকমান হাকীম।
এদিকে বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে বরিশাল নগরী ও জেলা উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে জরো হতে থাকেন। তাদের দেয়া মুহুর্মুহু স্লোগানে কম্পিত হয়ে ওঠে রাজপথ। সমগ্র নগর পরিণত হয় উৎসবের কেন্দ্র হিসেবে। নেতাকর্মীদের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ সময় মহানগর ১১ নাম্বার ওয়ার্ডের সেক্রেটারি আওলাদ হোসেন বলেন, সংস্কারের বিষয়টিকে পরবর্তী সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়ে গোটা প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে রাখা হয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি তৈরি করতে হবে এবং ওই সনদের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন তিনি।
মিছিল ও গণ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ১১ নাম্বার ওয়ার্ডের সভাপতি আফজাল হোসেন দুরানী প্রমুখসহ নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মী বৃন্দ।