নিজস্ব প্রতিবেদক :: পিরোজপুরে ৩ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর কাজ, ভোগান্তিতে ১৫টি গ্রামের মানুষ।
বরিশাল বিভাগের পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার গাওখালী বাজার সংলগ্ন খালে নির্মাণাধীন সেতুটির কাজ ৩ বছর ধরে ফেলে রাখায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দেউলবাড়ী দোবড়া ও মালিখালি ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে। ২০২১ সালে ইউএইচবিপি প্রকল্পের আওতায় এ ব্রিজের কার্যাদেশ দেওয়া হয় মেসার্স ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রা. লিমিটেডকে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার গাওখালী বাজার সংলগ্ন দেউলবাড়ী দোবড়া ও মালিখালি ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষের। ২০২১ সালে ইউএইচবিপি প্রকল্পের আওতায় গাওখালী বাজার সংলগ্ন খালের পুরনো লোহার সেতুটি ভেঙে নতুন ৩৯ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কার্যাদেশ দেওয়া হয় মেসার্স ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রা. লিমিটেডকে।
তবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো অর্ধেক কাজও সম্পন্ন হয়নি। এমনকি সেতু নির্মাণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে সকল মালামাল। এতে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে সেতুটি নির্মাণ কাজ। ফলে দুর্ভোগের পাশাপাশি দুশ্চিন্তাও ভর করেছে স্থানীয়দের ওপর। তবে স্থানীয়রা নির্মাণাধীন সেতুর পাশে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী সাঁকো বানিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা সীমারানী হালদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজের কাজ ফেলে রাখায় হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে । কোনো মালামাল নিয়ে পারাপার হওয়া যায় না। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। দুই মাস আগে দুটি বাচ্চা স্কুলে যাওয়ার পথে বাঁশের সাঁকো থেকে খালে পড়ে আহত হয়েছিল। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজের কাজ শেষ করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাগব করা হোক।
এ বিষয়ে পিরোজপুর এলজিইডি অফিসে সদ্য যোগদানকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান জানান, এলজিইডির যে সমস্ত কাজ অনিয়মের কারণে বন্ধ রয়েছে সেগুলো পুনরায় চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ে কাজগুলি সম্পন্ন করা না হলে বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২০২১ সালে ইউএইচবিপি প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৯ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটির নির্মাণ কার্যাদেশ দেওয়া হয় মেসার্স ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রা. লিমিটেডকে।