প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ১২:০৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বাবুগঞ্জে ইয়া মুমিনু ফুডস খাদ্য পণ্য উৎপাদন করছে : নিরব প্রশাসন!

বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি :: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ইয়া মুমিনু ফুডস এন্ড বেকারীর নামে একটি খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে কোনো বৈধ অনুমোদন ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বাণিজ্যিক উৎপাদন। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় দুই বছর ধরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বিস্কুট, চানাচুর, রুটি সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের রাজকর গ্রামে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কোনো প্রকার বিএসটিআই অনুমোদন নেই, নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বা খাদ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনও। ফলে জনস্বাস্থ্যের জন্য এসব খাদ্যপণ্য হতে পারে বড় ধরনের হুমকি। এছাড়াও এ প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ঘনচিনি ব্যবহার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। খাবারে মিশ্রিত করা হচ্ছে অবৈধ রং যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সরেজমিনে কারখানা অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বছরের পর বছর এসব খাদ্যপণ্য উৎপাদন করে আসছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), পরিবেশগত ছাড়পত্র, ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনসহ কোন ধরনের বৈধ কাগজপত্র না নিয়ে ইয়া মুমিনু ফুডস এন্ড বেকারীটি অবৈধভাবে চালিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাবস্থা নেয়নি বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কিংবা ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, সুরক্ষা ব্যবস্থা কোনোটিই নেই।
নোংরা অপরিচ্ছন্নভাবে এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হওয়ায় জনমনে একটাই প্রশ্ন থেকে যায় ; প্রশাসনের নাকের ডগায় একটি অবৈধ প্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন কিভাবে খাদ্য পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করে?
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোঃ আবুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, “আমি সব কাগজের জন্য আবেদন করেছি। প্রশাসনের লোকজন আমার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন, কিছু বলেননি। আর সাংবাদিকদের কাগজ দেখাতে আমি বাধ্য নই! বেকারির মালিকের এমন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের নীরবতা এবং মনিটরিংয়ের অভাবে এসব প্রতিষ্ঠান খোলামেলা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ ফারুক আহমেদ বলেন,
বিষয়টি আমি অবগত নই। এখনই খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন বা অনুমোদনহীন কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে দেয়া হবে না।
এলাকাবাসী দ্রুত এই ধরনের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের সতর্ক নজরদারি কামনা করেছেন।
Copyright © 2025 Crime Times. All rights reserved.