নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে নগদ এজেন্টকে টার্গেট, ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র।
মাত্র ১২ সেকেন্ডের ব্যবধানে বরিশালের এক নগদের এজেন্টের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। এ ঘটনা ঘটে গত ১৬ই সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর নথুল্লাবাদ কাঁচাবাজার সংলগ্ন রানা টেলিকমে।
প্রতারণার স্বীকার নগদের এজেন্ট আজম হাওলাদার রানা জানান, প্রতিদিনের মতো সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দোকান চালু থাকলেও সন্ধ্যার পর বাজার জমে ওঠায় তখন চাপ একটু বেশি থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগায় প্রতারক চক্র। তারা প্রথমে কয়েক দফায় ছোট ছোট লেনদেন (৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা) করে দোকানে আসতে থাকে এবং রানার গতিবিধি খেয়াল করে ফোনের পিন সংগ্রহ করে।
পরে আনুমানিক ২৪ বছর বয়সী এক যুবক বাকপ্রতিবন্ধী সেজে নতুন কৌশল নেয়। সে নাম্বার সঠিকভাবে বলতে না পারায় নাম্বার ওঠানোর জন্য রানা নগদ এজেন্টের ফোন তার হাতে দেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওই যুবক নাম্বার ওঠানোর সময় ফোন মিনিমাইজ করে নগদ এজেন্টের একাউন্টে প্রবেশ করে। এরপর নিজের পারসোনাল নগদ একাউন্ট ০১৩৩৮৪৯৪৩৯১-এ ৪০ হাজার টাকা ক্যাশইন করে ফেলে। পরে আবার রবি নাম্বার ০১৮২২৬৩১৭৯৮ উঠিয়ে ফ্ল্যাক্সিলোড করারা জন্য ফোন ফিরিয়ে দেয়।
কিছুক্ষণ পর রানা লেনদেন করতে গিয়ে মেসেজ দেখে বুঝতে পারেন পুরো টাকাই খোয়া গেছে। এরপর আশেপাশে খুঁজে না পেয়ে নগদ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করলে তারা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণ দেখিয়ে তাকে কোনো সহযোগিতা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী নগদের এজেন্ট রানা বিমান বন্দর থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার এএসআই সোহাগ জানান, যে নাম্বারে টাকা ক্যাশইন হয়েছে সেটি ট্র্যাক করার চেষ্টা চলছে। ডিটেইলস পাওয়া গেলে তদন্তে আরও সুবিধা হবে। তার ধারণা, ঘটনাটিতে কাস্টমার কেয়ারের লোকও জড়িত থাকতে পারে।
এদিকে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। আশা করি দ্রুতই সমাধান আসবে।”