এইচ এম সোহেল :: গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশ বাহিনীর ভেতরে হতাশা ও কর্মবিমুখতার সুযোগে সারা দেশে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ে মাদক ব্যবসা। দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নগর বরিশালও তখন মাদকের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত হয়। শহরের অলিগলি, রাস্তাঘাট,সবখানেই মাদকের অবাধ বিস্তার জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে।
এমন পরিস্থিতিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণের পর দৃঢ় পদক্ষেপ নেন। তিনি ঘোষণা করেন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি। তার নির্দেশে পুলিশ একের পর এক অভিযান চালিয়ে বরিশাল নগরীর বেশ কয়েকটি কুখ্যাত মাদক হটস্পট গুঁড়িয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কমিশনার শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মাদকচক্রের বড় অংশ ভেঙে পড়েছে। পুলিশের হিসাব অনুযায়ী বরিশালে অন্তত ৭০ শতাংশ মাদক নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এই সাফল্যের কারণে সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন পর কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।
জনগণের প্রশংসায় ভাসছে বিএমপি কমিশনার। বরিশালের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বলছেন, “যা আগে কেউ পারেনি, তিনি তা করে দেখিয়েছেন।” তার কঠোর অবস্থানের ফলে নগরে নতুন করে মাদকের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়নি, বরং ব্যবসায়ীরা ভূগর্ভে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে যেভাবে মাদকচক্র শক্তিশালী হয়েছিল, সেই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে এই সাফল্যকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বিশ্লেষকরা।