স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা :: শরীরে পানির ঘাটতি কিভাবে বুঝবেন জেনে নিন
দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়ার ফলে শরীরে দেখা দেয় পানির ঘাটতি। যাকে বলা হয় ডিহাইড্রেশন। শরীরের অন্যতম এক সমস্যা এটি। ফলে শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা। জীবন বাঁচাতে পানির কোনো বিকল্প নেই।
যেকোনো অসুখে সংক্রমিত হলে দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পানি খাওয়ার মাধ্যমে শরীর ডিটক্স হয়, অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হয় ও ক্লান্তি ভাব কাটে।
একজন সুস্থ ও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের উচিত দৈনিক আট গ্লাস পানি পান করা। তবে অনেকেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি পান করেন না। আবার তারা বুঝতেও পারেন না, শরীরে পানির ঘাটতি হচ্ছে কি-না। ডিহাইড্রেশনের কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শরীরে পানির ঘাটতি হচ্ছে, যেভাবে বুঝবেন-
>> পানি তেষ্টা পাওয়া মানেই শরীরে তখন পানির প্রয়োজন। শরীরে পানির ঘাটতি হওয়ার এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষণ।>> প্রস্রাবের রং হলুদ ও গাঢ় হলুদ হতে পারে। দিনে যে পরিমাণ পানি খাওয়া উচিত; তার থেকে কম খেলেই প্রস্রাবের রং বদলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বারবার গাঢ় হলুদ রঙের প্রস্রাব হয়।
>> প্রস্রাবের সময় খুব জ্বালাও করতে পারে। এরকম দেখলে ২০ মিনিট পর পর এক গ্লাস করে পানি খান। যতক্ষণ না প্রস্রাবের রং স্বাভাবিক হচ্ছে; ততক্ষণ এই নিয়ম মেনে পানি খেতে হবে।
>> শরীরে পানির ঘাটতি হলে মাথায় খুব যন্ত্রণা করতে পারে। ডিহাইড্রেশনের সঙ্গে মাথা যন্ত্রণার সরাসরি যোগ আছে। শরীরে কয়েক শতাংশ পানির ঘাটতি হলেই মাথা যন্ত্রণা শুরু হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
>> শরীরে পানির ঘাটতি হলেই রক্তচাপ কমতে শুরু করে। মস্তিষ্কেও কম পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছায়। যখনই দেখবেন কোনো কারণ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে; তখনই ঝটপট কয়েক গ্লাস পানি খেয়ে নিন।>> শরীর পর্যাপ্ত পানি না পেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। মানব মস্তিষ্কের ৭০ শতাংশই পানিতে পরিপূর্ণ। তাই দেহে পানির ঘাটতি হলে ব্রেনের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে।
>> পানির ঘাটতি হলে মুখগহ্বর এবং জিহ্বা শুকিয়ে যায়। সঙ্গে স্যালাইভার উৎপাদন কমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। ফলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।
>> এ ছাড়াও শরীরে পানির ঘাটতি হলে অল্প কাজেই হাঁপিয়ে উঠতে পারেন। পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও হতে পারে! তাই পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই।
>> শরীরে পানির ঘাটতি হলে রক্তের ভলিউম কমতে থাকে। ফলে হৃৎপিণ্ডকে স্বাভাবিকের থেকে দ্রুত কাজ করতে হয়। তাই হার্ট রেট তো বাড়েই; সঙ্গে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
সূত্র: ওয়েব এমডি