নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল ৫ আসন : বিএনপি-বাসদ-জামায়াত-ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থীরা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশালে নির্বাচনী পালে হাওয়া লেগেছে। নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণা বাড়িয়েছে। সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা স্থানীয় নেতাকর্মী ও জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। এলাকার স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে উঠান বৈঠক এবং চা-চক্রসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
বিভাগীয় শহর ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-৫ (সদর) আসন সার্বিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ আসনে দুটি উপ নির্বাচনসহ ১০টির মধ্যে ৮টিতে জয় পেয়েছিল বিএনপি। এছাড়া আওয়ামী লীগ একবার ১৯৭৩ সালে এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি একবার বিজয়ী হয়। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন।
জুলাই আন্দোলনের পরে নতুন করে এ আসনের প্রার্থী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন হেভিওয়েট নেতারা। এবার কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ মাঠ ছাড়া তাই লড়াইটা হবে মূলত বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মধ্যে। তবে এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বরিশাল-৫ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাও বিশেষ কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অন্যদিকে বরিশাল সদরসহ সংসদীয় দুইটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। এরমধ্যে বরিশাল-৫ (সদর) আসনে, ২০১৮ সালে সিটি নির্বাচনে আলোচিত মেয়র প্রার্থী বাসদের জেলা সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বলাই যাচ্ছে নির্বাচন হবে হাড্ডা-হাড্ডি।
এই আসনে বিজয়ী বিএনপির প্রতাপশালী নেতাদের মধ্যে সব থেকে বেশিবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার। তিনি টানা তিনবারসহ চারবার এ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বরিশাল সদর-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার, বিএনপি চেয়ারপার্সনের আরেক উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। এই দুই উপদেষ্টার সাথে বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য এবায়েদুল হক চান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতউল্লাহ, বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস আক্তার জাহান (শিরিন), মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন শিকদার (জিয়া), জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন, সদর উপজেলা বিএনপির আহাবয়ক এ্যাড. কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চুও আছেন তালিকায়। এই প্রার্থীদের সবাই বিরোধী দলের রাজনীতিতে থেকে বিগত সময়ে একাধিক মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন। সেইসাথে কারবারণও করেছেন একাধিকবার। ফলে বলাই যায়, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরিশাল সদর আসনে বিএনপির ভেতরে চলছে আরেক লড়াই, কে পাবেন দলীয় প্রতীক।
যদিও প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ভোটারের এ বিভাগীয় শহরের বরিশাল সদর আসনে ভিন্নতা রয়েছে আলোচনায় থাকা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থীর ক্ষেত্রে। এ দলে সবাই তাকিয়ে থাকেন দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর। সেক্ষেত্রে ২০১৮ সালের মতো এবারেও এ আসনে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির ও চরমোনাই পীরের ভাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ১২ জুন ২০২৩ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের ৮৭ নাম্বার নির্বাচনী কেন্দ্র, ‘ছাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ‘পরিদর্শনে গিয়ে আওয়ামী লীগের হামলারও শিকার হয়েছিলেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও এ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। তাদের ঘোষাণা অনুযায়ী এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। যিনি ব্যক্তি হিসেবে পরিচ্ছন্ন ইমেজের এবং দলের জন্য ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। এর বাইরে সুযোগ পেলে এ আসনে জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তবে তফশিল ঘোষণা হলে আরও কিছু দল তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে এ আসন থেকে।
বরিশাল সদর আসনের ভোটার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক বলেন, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা কীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তা সবাই জানে। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রার্থী হোক না কেন বরিশাল সদর আসন বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ভোটার সম্পৃক্ত নির্বাচনে এখানে জয়ী হতে হলে বিএনপিকেই বড় প্রতিপক্ষ বলে মেনে নিতে হবে অপর প্রার্থীদের।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল জানান, নতুন বাংলাদেশ গড়তে জনগণ এবার জামায়াতে ইসলামীকে বেছে নিবে। তিনি আরো বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, জুলাই সনদ বাস্তব, গণহত্যাকারীদের বিচার করে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে। রাসুলের সকল গুরুত্বপূর্ণ সাহাবী ছিলেন যুবক, যুবকদের হাত ধরেই একটি ইসলামি সমাজ প্রতিষ্ঠা করলেন। বাংলাদেশের যুবকরা যখন রাস্তায় নামে তখন হাসিনার মত সৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ভুমিতে যুবকদের হাত ধরেই ন্যায় ও ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাআল্লাহ। একাধিক মামলার আসামি ও বহুবার কারাবরণকারী এই নেতা আশা করেন, জামায়াতে ইসলামী বরিশালের সবকয়টি আসন থেকে বিজয়ী হবে।
বাংলাদেশে সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর বরিশাল সদর-৫ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী জানান, আমরা তো জনগণের জন্যই রাজনীতি করি এবং সেই রাজনীতির অংশ হিসেবে নির্বাচনটাও দেখি। শুধুমাত্র নির্বাচন ভিত্তিক মাঠের অবস্থান সেটা আমরা গ্রহণ করি না। সব সময় মাঠে থাকি এবং জনগণের জন্য কাজগুলো করার চেষ্টা করি। বরিশালের দীর্ঘদিন যাবত এখানকার শ্রমজীবী মানুষের কারখানা সমস্যা, রিকশা শ্রমিক, ইজিবাইক শ্রমিকদের সমস্যা বা বস্তি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে একটা পরিকল্পিত নগরীর জন্য নগরীর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন সংকট রাস্তাঘাট খাল সংস্কারসহ সামগ্রিকভাবে এই বরিশালের মানুষের উন্নয়নের জন্য আমরা ধারাবাহিক ভাবে লড়াই সংগ্রাম আন্দোলন করে, একটা সংগ্রাম পরিচালনা করে আসছি। এমনকি করোনার মধ্যে সরকারের উদ্যোগের আগে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, আমরা অক্সিজেন ব্যাংক চালু করেছিলাম, অ্যাম্বুলেন্স চালু করেছিলাম, আমরা মানবতার বাজার থেকে প্রায় (২০ হাজার) মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করেছিলাম, করোনা কালীন সময়ে। এবং সেই সময়ে কিন্তু একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে যেকোনো সরকারের উদ্যোগের চেয়ে, আমাদের উদ্যোগ কম ছিল না। জনগণের মধ্যে থেকেই যেহেতু রাজনীতিটা করছি, জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে কথা বলার জন্যই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জানান, প্রার্থী অনেক থাকতেই পারে। এখানে শুধু এমপি নয়, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অনেকগুলো পদ রয়েছে। তাই অনেকেই এখন থেকেই ঘোষণা দিচ্ছে। একটা না একটা তো পাবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জানান, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতে চাই। সবাই এক সময় নিজ এলাকায় ফিরে। আমি রাজনীতিতে নতুন নয়। বরিশালবাসী আমাকে গ্রহণ করলে আমি তাদের খেদমত করতে চাই।
আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ জানান, নির্বাচনের সময় হলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার পক্ষেই কাজ করবে। আমি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতিত প্রতিটি কর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছি। এখানে নেতা-কর্মীরা খুবই অবহেলিত। বিপদের সময় তাদের পাশে কেউ থাকে না। দলের প্রতিটি প্রগ্রামে আমার অংশগ্রহণ আছে। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নেশা থেকে আমি তাদের নিয়ে সভা করেছি। তাদের চাহিদা সাধ্যমত পূরণ করার চেষ্টা করেছি। অসহায় ব্যক্তিদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তবে আমি আরো ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব।
এবায়দুল হক চান গণমাধ্যমকে জানান, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য বলেন, আমি জাগো দল থেকে বিএনপি করি। আমি জিয়া উর রহমানের গায়েবি জানাযা পড়িয়েছি। তখন কেউ সাহস করত না জিয়ার নাম নেয়ার। আমার বাড়িঘর লুটপাট হয়েছে ৯৬ সালে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর হয়েছে। আমাকে দল কখনো কিছু দেয়নি। দুই বার মনোনয়ন দিয়েও পরে সরোয়ারকে দিয়েছে। আমি তাদের জন্য কাজ করেছি। দল যদি এবার আমাকে মূল্যায়ন করে আমি দলের হয়ে নিবেদিত কাজ করব।
বিলকিস জাহান শিরিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি দলের সকল কর্মসূচিগুলোতে অংশগ্রহণ করেছি। আমাকে একটি মিথ্যা নিউজের কারণে অনেক বড় শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আমার বাপ দাদার জমি আমি কিভাবে দখল করি এটা আমার বোধে আসে না। দল আমার অতীত পর্যালোচনা করে এক সময় আমার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে এই আসনে আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে সভা সমাবেশ, হরতাল করতে গিয়ে মার খেয়েছি, জেল খেটেছি। আশা করি সুদিন আসবে ইনশাআল্লাহ।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন জানান, আন্দোলন সংগ্রামে বিগত সময়ে কোনদিন ভয় করিনি। রাজপথে ছিলাম। কোন বিতর্কিত কাজে যাইনি। দলের জন্য নিবেদিত ছিলাম। জেল-জুলুম রাজনীতি করতে গেলে থাকবেই। কিন্তু নীতি-আদর্শ একটা বিষয়। কাজ করার সক্ষমতা থাকতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে উদ্যমী হতে হবে। আমাকে দল যদি মনে করে আমি যোগ্য তবে অবশ্যই আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে আমি মনে করি।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, গেল বছরগুলোতে কেন্দ্রের নির্দেশনা মত সকল কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়ে সফল করেছি। এখানের অনেক নেতা তখন ঘর থেকে বের হয়নি। আওয়ামী লীগ সবশেষ আমাকে কুপিয়ে আহত করে। শেষ বয়সে এখন আমাদেরও কিছু চাওয়ার থাকে। দল যদি যোগ্য মনে করে এবং মনোনয়ন দেয় তবে আমি চেষ্টা করব এই আসন বিএনপিকে উপহার দেওয়ার।
মহানগর সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার জানান, আপনারা দেখেছেন বিগত প্রোগ্রামগুলো সব আমাদের এই কমিটি করেছে। সেখানে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে জেল-জুলুম, মামলা, হামলার শিকার হতে হয়েছে। প্রাণ চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে হয়েছে পালিয়ে থেকে। দল অবশ্যই তার মূল্যায়ন করবে।
বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনায়েত হোসেন বাচ্চু বলেন, আমি সদর উপজেলার সন্তান। ছাত্রদল থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। সদর উপজেলার মানুষের সাথে তার আত্মার সম্পর্ক। সদর উপজেলায় নির্বাচন করেছি। ১৪ সালে স্বৈরাচার সরকার ভোট কারচুপি করে তাকে বিজয়ী করে নিছে। ড. ইউনূসের মামলার আইনজীবী ছিলাম। দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে আমার অংশগ্রহণ ছিল সরব। দলের নেতাকর্মীদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিয়েছি। বিগত ১৭ বছরে নেতা কর্মীদের খোঁজখবর রাখা, বিপদে পাশে দাঁড়ানো। বেগম জিয়ার মামলা পরিচালনা করেছেন দাবি করে তিনি বলেন, দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয় তবে তিনি বিজয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।
উল্লেখ্য, বরিশাল-৫ আসনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখান থেকে ১৯৭৩ সালে আবদুল মান্নান হাওলাদার (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), ১৯৭৯ সালে সুনীল কুমার গুপ্ত (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল), ১৯৮৬ সালে এম. মতিউর রহমান (জাতীয় পার্টি), ১৯৯১ সালে আব্দুর রহমান বিশ্বাস (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল), ডিসেম্বর ১৯৯১ এর উপ-নির্বাচনে মজিবুর রহমান সরোয়ার (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল), ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ তে নাসিম বিশ্বাস (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল), জুন ১৯৯৬-তে নাসিম বিশ্বাস (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) নির্বাচিত হয়েছেন। নাসিম বিশ্বাসের মৃত্যুর পর ১৯৯৮ এর উপ-নির্বাচন থেকে ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত টানা তিনবার মজিবুর রহমান সরোয়ার (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর ২০১৪ সালে শওকত হোসেন হিরন (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), জুন ২০১৪ এর উপ-নির্বাচনে জেবুন্নেচ্ছা আফরোজ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা দুইবার জাহিদ ফারুক শামীম (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) নির্বাচিত হয়েছেন।