এইচ এম সোহেল :: বরিশাল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের পেছনে বালুর মাঠ বস্তিতে গড়ে উঠেছে নতুন এক মাদক সাম্রাজ্য। যেখানে কথিত মাদক সম্রাট মুন্না ও তার স্ত্রী যুথি নিরাপদ আশ্রয়ে পরিচালনা করছেন রমরমা মাদক বেচাকেনা। পুলিশের “জিরো টলারেন্স” নীতির পরও রাতের আঁধারে এ দম্পতির ব্যবসা চলছে অব্যাহতভাবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ডিবি পুলিশ ও ইস্টিমারঘাট ফাঁড়ির পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালালেও কোনো অদৃশ্য শক্তির কারণে এড়িয়ে যায় এই মাদক ব্যবসায়ী দম্পতি। এমনকি কয়েক মাস আগে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেফতারও করা হয়েছিল মুন্না-যুথিকে। কিন্তু আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে জামিনে বের হয়ে তারা আবারও একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় এক মাদকসেবী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, “কেডিসি এলাকা থেকে মাদক নির্মূলের পর হতাশায় পড়েছিল অনেক সেবনকারী। এখন সেই ঘাটতি পূরণ করছে বালুর মাঠের মুন্না-যুথি। এখানে সন্ধ্যা নামলেই লাইন পড়ে যায় কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধদের।”
শুধু তাই নয়, ওই এলাকার শিশু-কিশোররাও এখন পড়েছে গুরুতর ঝুঁকিতে। স্থানীয়দের দাবি, হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক — সহজলভ্যতার কারণে অল্প বয়সীরা এতে আসক্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে প্রতিদিন।
এলাকার সচেতন নাগরিকরা জানান, “কেডিসি এলাকার মতো এখানেও যদি প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তবে বালুর মাঠ পরিণত হবে নতুন এক ‘মাদক স্বর্গরাজ্যে’। বরিশাল পুলিশ কমিশনারের সুদৃষ্টি কামনা করছি, যাতে এই এলাকাও দ্রুত মাদকমুক্ত করা হয়।”