নিজস্ব প্রতিবেদক :: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, টাইফয়েড টিকা সকলের জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ। এই রোগে আক্রান্ত রোগী নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকা দেওয়া জরুরি। যে কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে আগে তা প্রতিরোধ করা উত্তম। সরকার দেশব্যাপী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এজন্য টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিনের বার্তা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। রোববার বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও গাভি (এঅঠও) এর আয়োজনে টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ অনেকটা জলাভূমি। টাইফয়েড রোগের প্রধান বাহক দূষিত পানি। টাইফয়েড একটি দুরারোগ্য ব্যাধি। এটা একবার হলে স্বাস্থ্য ভঙ্গুর করে চিন্তাশক্তি নষ্ট করাসহ নানা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। একবার টিকা নিলে টাইফয়েডের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা যায় বলে এসময় তিনি টিকা নেওয়ার জন্য সকলকে উদ্ধুদ্ধ করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন শতভাগ হালাল ও নিরাপদ। নয় মাস থেকে পনেরো বছর বয়সী সকল শিশুকে এ টিকা দেওয়া হবে। নগরীর স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্র থেকে মাসব্যাপী টিকা প্রদান করা হবে। টিকা পাওয়ার জন্য জন্মনিবন্ধন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওসার, ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আব্দুস সালাম, বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল, সমাজসেবার পরিচালক শাহ রফিকুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম, সিভিল সার্জন এসএম মঞ্জুর-এ-এলাহী সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের ইপিআই কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী শুরু হওয়া টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে ১৩ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। সকাল ৮টা থেকে নির্ধারিত কেন্দ্রসমূহে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলবে। বরিশাল বিভাগে এবার টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ লাখ ১৪ হাজার ৭১২ জন।
পরে উপদেষ্টা বরিশাল জিলা স্কুলেও টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।