নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মাকসুদুর রহমান খান মারা গেছেন, দাফন সম্পন্ন
সরকারি ব্রজমোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মাকসুদুর রহমান খান ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৪ টায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। নগরীর কালিবাড়ী রোড বিএম স্কুলের বিপরীতে তার বাস ভবনে স্ট্রোক করার পর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার সকাল ৯ টায় বিএম স্কুল মসজিদ এর সামনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর তাকে রাজাপুরের নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে সকাল ১১ টায় ২য় জানাজা শেষে পুনরায় বরিশাল আঞ্জমান-ই হেমায়েত ইসলাম ঈদগাহ মাঠে বাদ জুম্মা ৩য় জানাজা শেষে মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজার নামাজে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, মহানগর জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস, শিক্ষক নেতা মহসিন উল হাবুল, এ্যাড. আলী হায়দার বাবুল, দৈনিক আজকের পরিবর্তন সম্পাদক কাজী মিরাজ,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এইচএম তসলিম উদ্দিন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ প্রফেসর মাকসুদুর রহমান খান চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পলিটিক্যাল সাইন্স নিয়ে পড়াশনা শেষ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সাথে জড়িয়ে রাজনীতি শুরু করেন। এর পরে যুক্ত হন ইউনাইটের পিপলস পার্টিতে। কর্মজীবনে শুরুতে তিনি বরিশাল কলেজের রাষ্টবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালে ইউনাইটের পিপলস পার্টি জাতীয় পার্টির সাথে যুক্ত হলে তা বিলুপ্ত হয় এবং প্রফেসর মাকসুদুর রহমান খান তৎকালীন জাপা বরিশাল জেলা শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। এর পরে বরিশাল কলেজ ও হাতেম আলী কলেজ সরকারী হলে সেখান থেকে বিএম করেজের প্রভাষক হিসেবে আসেন। এর পরে প্রভাষক, পলিটিক্যাল সাইন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান, সহকারি অধ্যক্ষ এবং সর্বশেষ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপালন করেন দীর্ঘদিন। সর্বশেষ তিনি রাজবাড়ি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে নিজের শিক্ষকতা জীবন সমাপ্ত করেন।