নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে অনিয়মের অভিযোগ: পেশকারের দায়িত্ব পালন করছে নাইটগার্ড সিরাজ।
বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে সরকারি নিয়োগ ছাড়াই সিরাজ দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন—এমন অভিযোগে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর সব তথ্য । অভিযোগ উঠেছে, সিরাজ নামের এই ব্যক্তি নাইটগার্ড হিসেবে দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক চাকরি নিলেও চুক্তির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তবুও তিনি এখনো অফিসে সক্রিয় থেকে কখনো পেশকার
ও পিয়ন হয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজ শুধু পেশকারের দায়িত্বই পালন করছেন না, বরং নানা উপায়ে ঘুষ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কখনো নিজেকে পিয়ন পরিচয় দিয়ে ভূমি মালিকদের কাছে নোটিশ পৌঁছে দেন, আবার হাজিরা দেওয়ার নামে দাবি করেন তিন থেকে চারশ টাকা পর্যন্ত। এটিই নাকি ঘুষ গ্রহণের প্রথম ধাপ।
এছাড়া ভূমি ও জমিজমার কাগজপত্রে নানা ত্রুটি দেখিয়ে প্রয়োজনীয় সব ঠিকঠাক করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আদায় করেন মোটা অঙ্কের টাকা। ফলে গ্রামের খেটে খাওয়া, সহজ-সরল ও অসহায় মানুষজন পড়ে যান এ চক্রের ফাঁদে। সরকারি অফিসের কর্মচারীর পরিচয় দিয়ে গড়ে ওঠা এ গোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে নানা রকম হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভোলা জেলার চরফ্যাশনের তিনটি অসম্পূর্ণ মৌজার কিছু জটিল কেসের শুনানির দায়িত্বে পান রঞ্জিত কুমার খাসকেল , অভিযোগকারীদের অনেকেই নাম প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করেছেন ভয়ের কারণে।তাদের কিছু কাজ পেন্ডিং রয়েছে।
সংবাদকর্মীরা অভিযুক্ত সিরাজের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অকপটে বলেন, “প্রেসক্লাবের সভাপতি আসুক, আমি তখন বলব। আমি যদি দুর্নীতি বা অনিয়ম করি, তাতে তোমাদের কী?”—এমন প্রশ্নবিদ্ধ বক্তব্যে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
এ বিষয়ে বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, সরকারি দপ্তরে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ ও দায়িত্ব পালন যেন আর না ঘটে, সে জন্য দ্রুত তদন্ত ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।