নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল জেলা শ্রম ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির সভায়ও সমাধান হয়নি নগরীর অপসোস্যালাইন ফার্মার ছাটাই হওয়া শ্রমিকদের দুইদফা দাবির বিষয়টি। এ কারণে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষনা দিয়েছেন শ্রমিকরা। বুধবার বিকেলে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কমিটির সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। সভায় শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরিন, বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্তি, অপসোস্যালাইন ফার্মার পক্ষে আবু সাঈদ, অনিন্দ কুমার সরকার, অপসোনিনের আইনজীবী আবু রায়হান, শ্রমিকদের পক্ষে ইমাম হোসেন খোকন, ওমর তমাল ও জাহাঙ্গীর আকন বক্তব্য রাখেন।
সভায় অপসোস্যালাইন এর পক্ষে জানানো হয়, গত তিনবছর ধরে ইউনিটটি লোকসানে রয়েছে। তাই ইউনিটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। নগরীর জাগুয়ায় একটি কারখানা করা হচ্ছে। সেখানের ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ওই কারখানা চালু করা হলে শ্রমিকদের কাজ দেয়া হবে।
সভায় বাসদ নাসরিন ও মনীষা বলেন, নোটিশ ছাড়া আকস্মিকভাবে ৫৭০ শ্রমিককে ছাটাই করা হয়েছে। তাদের বকেয়া পাওনা দেয়া হয়নি। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে শ্রমিকরা। মানবিক দৃষ্টিতে শ্রমিকদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবি করেন তারা। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ছাটাইকৃত শ্রমিকদের একটি প্রশংসাপত্র, নতুন কারখানায় নিয়োগে তাদের অগ্রাধিকার ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরন দেয়ার নির্দেশ দেন।
তবে শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষনা দিয়েছেন। তারা সভা শেষে বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডে অপসোস্যালাইনের কারখানার সামনে অবস্থান নেন।
দুইদফা দাবিতে গত ১ নভেম্বর থেকে বরিশাল নগরীর অপসোস্যালাইন ফার্মার ছাটাই হওয়া পাঁচ শতাধিক শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান করছেন।
তাদের দুই দফা দাবি হলো : অন্যায় ও বেআইনীভাবে অপসোস্যালাইন ফার্মা থেকে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক ছাটাইয়ের সিদ্বান্ত বাতিল এবং অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দিতে হবে।