নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার ‘১৫ কোটি টাকার’ সম্পদ, আয়ের উৎস কি?
বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় চলছে। প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে অর্জিত বেতনের তুলনায় ১৫ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে—অতিরিক্ত ব্যয় প্রাক্কলন, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, প্রকৌশলীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়সহ নানা কৌশলে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। বরিশাল শহরের সার্কুলার রোডে পাঁচতলা ভবন, বিএম স্কুল রোডে আরও একটি বাড়ি এবং গৌরনদীতে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে তার নামে ও বেনামে।
দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামকেও দুর্নীতির উৎসবের অন্যতম হোতা হিসেবে অভিযুক্ত করছেন ঠিকাদাররা। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ বাগিয়ে নিয়ে বিক্রি করেন মোটা কমিশনে। বাবুগঞ্জ ও আগৈলঝাড়ার দুটি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (টিএসসি) প্রকল্পের ৩২ কোটি টাকার কাজ ৭% কমিশনে বিক্রি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ‘কমিশনের টাকা’ লেনদেনকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের নাটকীয় ঘটনাও ঘটে। ঠিকাদারের প্রতিনিধি দ্বারা দেওয়া ৩৫ লাখ টাকার অগ্রিম কমিশন নিয়ে দপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর রাশেদ লাপাত্তা হয়ে যান। এতে নির্বাহী প্রকৌশলীর চরম বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন—বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশলে ৬–৮ জনের একটি অসাধু ঠিকাদার সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করছে সব বড় প্রকল্প। তাদের কমিশন বাণিজ্যের কারণে সাধারণ ঠিকাদাররা চরমভাবে বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার।
এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তারেক আনোয়ার জাহেদী বলেন—“যে কোনো ধরনের দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”