নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে ভূমিকম্পের প্রভাবে নদীগর্ভে বিলীন বসতঘর, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।
ভূমিকম্পের প্রভাবে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে জায়গা-জমি ও বসতঘর। সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ে উত্তর নাজিরপুর গ্রামের ধানহাটখোলাসংলগ্ন মো. আবুবকর ঘরামির বসতঘর ও কয়েক শতক জায়গাসহ বেশ কিছু গাছপালা নদীতে নেমে গেছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সমস্ত বাংলাদেশে সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভুত হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭ (৫.৭)। এটি একটি মাঝারি শ্রেণির ভূমিকম্প।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের স্থায়ীত্ব ছিল ২৬ সেকেন্ড। ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ভূমিকম্প আঘাত হানার পরক্ষণেই বানারীপাড়া নদীর পশ্চিম পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বসত ঘরটি হঠাৎ করে নদীতে তলিয়ে যায়। আবুবকর ঘরামির বসতঘর ও জায়গা নদীতে তলিয়ে যাওয়ায় সর্বস্ব হারিয়ে তিনি এবং তার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
মো. আবুবকর ঘরামি জানায়, আমাদের মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়স্থলটুকু ভূমিকম্পে নদীতে চলে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে আমরা জীবন যাপন করবো। জায়গাজমি, বসতঘর হারিয়ে আজ আমরা সহায়-সম্বলহীন।’
এর আগে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঢাকায় ৩ জন, গাজীপুরে ১ জন, নারায়ণগঞ্জে ১ জন এবং নরসিংদীতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সারা দেশে সাড়ে চারশর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। এদিন ভূমিকম্পে সারা দেশে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।