
নিজস্ব প্রতিবেদক :: আ'লীগের রাজনীতি ছাড়ছেন! নাকি ধর্মে মনোযোগী হচ্ছেন? খান হাবিবকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্নবাণ
বরিশালের পরিচিত সমাজসেবক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ খান মোঃ হাবিব নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ওমরাহ’র প্রথম জুমার মুহূর্তের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন—
“আজকে ওমরাহ প্রথম জুম্মা মোবারক। আমি, আমার স্ত্রী, ছোট দুই বোন ও আমার চাচী। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমিন।”
তার সাথে প্রকাশিত তিনটি ছবিতে দেখা যায়—
একটি ছবিতে তিনি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পাঞ্জাবি পরিধানে দাঁড়িয়ে আছেন; পাশে তাঁর স্ত্রী, দুই বোন ও চাচীকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।
আরেকটি ছবিতে তিনি কাবা শরিফ তাওয়াফ করছেন।
অপর একটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি কাবার সামনে দাঁড়িয়ে সকলের উদ্দেশ্যে ছবি তুলেছেন।
ছবি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় নানামুখী আলোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—
“তবে কি দলীয় রাজনীতির প্রচার ছেড়ে এবার ইসলামের প্রচারে নিজেকে নিবেদিত করলেন খান হাবিব?”
কারও মতে—
“খান হাবিবের পরিবার বরাবরই শান্ত স্বভাবের। তিনি আওয়ামী লীগ করতেন, তবে সেই আমলেই তাকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় দলীয় চাপে বরিশাল আসতে পারেননি। ১৭ বছরের মধ্যে প্রায় ১২ বছর তিনি এলাকার বাইরে ছিলেন। শেষ সময়ে এসে তাকে নানা মন্তব্যের কাদা ছোঁড়া হয়েছে—যেখানে ব্যক্তিগত দোষের চেয়ে বিষয়টি ছিল রাষ্ট্রীয় ইস্যু।”
আরেকজন মন্তব্য করেছেন—
“তবে কি খান মোঃ হাবিব আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছেড়ে দিলেন? আল্লাহর পথে নিজেকে পুরোপুরি উৎসর্গ করতে পরিবারসহ মক্কায় গেছেন।”
তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে—
রাজনীতি নয়, ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে খান মোঃ হাবিবের সম্পৃক্ততা নতুন কিছু নয়। গত ১৭ বছরে তিনি নীরবে-নিভৃতে বহু সামাজিক ও ধর্মীয় কাজ করেছেন।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদের জন্য জমি ক্রয় করে দান,
দুঃস্থ মানুষের সহায়তা,
স্থানীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান প্রদান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ওমরাহ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনেকেই দোয়া কামনা করেছেন।
সব মিলিয়ে, রাজনৈতিক আলোচনা পেরিয়ে খান মোঃ হাবিবের এই ধর্মীয় যাত্রা নতুন করে আলোচনায় এনেছে তার অতীত কর্মকাণ্ড ও বর্তমান অবস্থানকে।