নিজস্ব প্রতিবেদক :: ছাত্র সংসদের নাম ব্যবহার নিয়ে জটিলতা নিরসনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ও সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ কর্তৃপক্ষসহ ছাত্র সংসদের সাবেক নেতারা। তবে জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠক কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে।বরিশাল ভ্রমণ গাইড
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঘণ্টাব্যাপী ববি উপাচার্যের কার্যালয়ে এই বৈঠকে পক্ষে-বিপক্ষে বিশদ আলোচনা করে উভয়পক্ষ।
বৈঠকে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম, বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম, ববি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল, বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ রাশেদুল ইসলাম, বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস আলী আজগর ফকির, এজিএস বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন, বিএম কলেজ ইংরেজি অ্যালামনাই সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও দেখুন
পটুয়াখালী আপডেট
বিশেষ সংবাদ
আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ
শিক্ষা সংবাদ
বাংলাদেশ সংবাদ
সম্পাদকীয় কলাম
স্থানীয় ইতিহাস ভ্রমণ
বরিশাল বিভাগের মানচিত্র
স্থানীয় সংবাদ
ইসলামিক কনটেন্ট
বৈঠকে বিএম কলেজের প্রতিনিধিরা জানান, ৭২ বছর আগে থেকে তারা ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সেন্ট্রাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন সংক্ষেপে ‘বাকসু’ ব্যবহার করে আসছেন। তাই সবদিক বিবেচনায় এই নাম অতীতের মতো বিএম কলেজেরই বলে দাবি করেন তারা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য তৈরি করা খসড়া গঠনতন্ত্রে তাদের নাম বরিশাল ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ববির সংবিধিতে ‘বাকসু’ বলে কোনো শব্দ নেই। এরপর কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়ে যায় এ বৈঠক।
ববি প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ‘আমাদের সংবিধিতে বাকসু বলে কোনো শব্দ নেই। ইংরেজিতে বরিশাল ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, যা বাংলায় আমরা বাকসু বলছি না।’
বিএম কলেজ অধ্যক্ষ ড. শেখ মো. তাজুল ইসলামকে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বিএম কলেজের প্রতিনিধিদলে থাকা তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘বরিশালের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে বাকসু নাম। আমরা এখানকার ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষায় এর সুন্দর সমাধান চাই। তা না হলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ মনোভাব পড়বে, যা আমরা কখনোই চাই না।’