ঢাকাসোমবার , ১ ডিসেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাকেরগঞ্জে মাঠ কাপাচ্ছে জামায়াত ও বিএনপি, পিছিয়ে ইসলামী আন্দোলন

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ১১:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন খান ও জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুন্নবী তালুকদার। নির্বাচনী সভা সমাবেশ, মোটরসাইকেল র‌্যালি, উঠান বৈঠক, ভোটকেন্দ্র কমিটি গঠন সহ প্রচার প্রচারণায় জামায়াত প্রার্থী মাহমুদুন্নবী তালুকদারকেই বেশি দেখা যাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষিত হওয়ায় প্রায় দশ মাস আগে থেকেই তিনি ভোটের মাঠ যেন চষে বেড়াচ্ছেন। বিএনপির ভোটব্যাংক খ্যাত এই আসনটিতে দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। তবে এবার এই আসনটিতে একটি পরিবর্তন আনতে ব্যাপক চেষ্টা করে যাচ্ছেন দাঁড়িপাল্লা সমর্থকরা।

এদিকে সম্প্রতি প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান। তাকে প্রার্থী ঘোষণা করায় উপজেলা বিএনপির মধ্যে ছোটখাটো বিবেধ অনেকটাই নিরসন হয়ে আসছে। সুসংগঠতি বড় দল হিসেবে তারা অল্প দিনেই ভোটকেন্দ্রিক অনেক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।

এদিকে আলোচনায় আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। তবে নির্বাচন কিংবা ভোট কেন্দ্রীক তাদের তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা তাদের প্রার্থীকে নিয়ে আশাবাদী হলেও বাস্তব মাঠে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাকেরগঞ্জে সম্ভাব্য চারজন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে নির্বাচনী প্রচারণা বেশি চালিয়েছেন মাওলানা মাহমুদুন্নবী। বিগত সময়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে এবং ছোটখাটো প্রয়োজনেও সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। ফলে সাধারণ মানুষ বলছেন, একজন মার্জিত সভাবের সাদাসিধে মানুষ হিসেবে আমরা মাহমুদুন্নবীকে চিনি। তাই এবার তার জন্য একটি বিশেষ সম্ভাবনার আলো দেখা যাচ্ছে।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়ারে প্রার্থী বিগত দিনে মাঠ চষে বেড়িয়ে সবকিছু গুছিয়েছেন। তাদের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন যদি ইসলামী জোটের কারনে এই আসনটি চরমোনাইকে দেয় তাহলে তারা সোচনীয়ভাবে হারবে। কেননা তাদের এতো দিনে গোছানো আসনটি এভাবে হেলায় হারানো ঠিক হবেনা।

বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন খান বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে নানা অন্যায়-অত্যাচার উপেক্ষা করেও মানুষের সঙ্গে ছিলাম, এখনো আছি। মানুষ আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ আবারও দেবে ইনশাআল্লাহ।’

জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা মাহমুদুন্নবী তালুকদার বলেন, ‘এবার যে ফ্রি-ফেয়ার নির্বাচন হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন হবে, সেই প্রত্যাশাই আমাদের। তাছাড়া ইতিমধ্যে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে গণজোয়াড় সৃষ্ঠি হয়েছে। ইনশাআল্লাহ জয় আমাদের হবে।’