
নিজস্ব প্রতিবেদক :: পরীক্ষাবর্জন ও ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে বরিশালের জিলা স্কুল ও সদর গার্লস স্কুলের শিক্ষকদের আচরণে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। দুই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। দুই শিফটে পরিচালিত এই দুটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংখ্যা মোট ৯৩ জন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিজেদের পরিচালিত কোচিংয়ে যেতে বাধ্য করেন। কোচিংয়ের একাংশ প্রধান শিক্ষককেও দিতে হয় বলে তারা দাবি করেন। ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলেও শিক্ষকরা ব্যক্তিগত কোচিং চালিয়ে গেছেন বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে।
অভিভাবকদের মতে, বছরের শেষ প্রান্তে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা সামনে রেখে ধর্মঘটের মতো সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয়। এতে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসন গতকাল পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিলে জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক কিছু শিক্ষার্থীকে নম্বর বেশি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে আন্দোলনে যুক্ত করেন এবং পরীক্ষাবর্জনে উসকানি দেন বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন। পরে শিক্ষকরা পরীক্ষাও বর্জন করেন।
এ ঘটনায় অভিভাবকরা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, কোচিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ এবং শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।


