নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে প্রেমিকাকে বাড়িতে রেখে উধাও যুবক।
বরিশাল বিভাগের ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নে প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে প্রেমিকা ঝুমুর বেগম (১৯) বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সোলায়মান বাদশা (২৬)-এর বাড়িতে টানা ৯ দিন অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদ্রাজ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আমির হোসেন মাঝির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রেমিকা ঝুমুর বেগম প্রেমিকের ঘরের ডেলান্সিতে বসে অবস্থান করছেন এবং বিয়ের দাবি জানাচ্ছেন। তবে সোলায়মানের পরিবার তাকে গ্রহণ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে।
ঝুমুর বেগম জানান, তার বাড়ি রসুলপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ড, চৌমুহনী। বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন। পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন এবং ভাড়া বাসায় থাকতেন। বেতুয়া থেকে ঢাকায় লঞ্চ যাত্রার সময় পরিচয় হয় মাদ্রাজ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোলায়মানের সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর সোলায়মান আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
ঝুমুর আরও জানান, সোলায়মান বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে আমার কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা নিয়েছে। আমি বিশ্বাস করে সব টাকা দিয়েছি। ২৪ নভেম্বর সোলায়মান আমার বাড়িতে এসে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। এখন ৯ দিন ধরে আমি তার বাড়িতে অবস্থান করছি। সোলায়মানের মা আমাকে নানা অপমানজনক কথা বলছেন এবং হত্যার হুমকিও দিচ্ছেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার জীবন নষ্ট করে এখন সে পালিয়ে গেছে। বিয়ে না হলে আমি আত্মহত্যা করব।
অভিযুক্ত সোলায়মান গা-ঢাকা দেওয়ায় তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ রয়েছে। তবে তার মা জামিলা আক্তার বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে কথা বলব। সে যদি দোষী হয়, তাহলে মেয়েটিকে আমি মেনে নেব।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. নুর ইসলাম জানান, ঝুমুর টানা কয়েকদিন ধরে ছেলের বাড়িতে বসে আছে। ছেলে সোলায়মান মেয়েটিকে বাড়িতে রেখে পালিয়ে গেছে। সে সত্যিই প্রতারণা করেছে, তবে সোলায়মানের অবশ্যই মেয়েটিকে বিয়ে করা উচিত।
চরফ্যাশন থানার (ওসি) মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।