নিজস্ব প্রতিবেদক :: সন্ধ্যার পরে কোন স্কুল পরোয়া শিক্ষার্থী বাইরে থাকলে আইনি ব্যবস্থা, ওসি এস এম আমানউল্লাহ।
মাদক, জুয়া, কিশোর গ্যাংসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বেলাব থানা পুলিশ। এর অংশ হিসেবে আজ থেকে বেলাব থানা এলাকার অন্তর্গত সকল স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীর জন্য সন্ধ্যার পর অপ্রয়োজনে বাইরে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বেলাব প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বেলাব থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আমানউল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেলাব প্রেসক্লাবের সভাপতি মোশাররফ হোসেন নীলু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক,সহ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
মতবিনিময়কালে ওসি এস এম আমানউল্লাহ বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী সন্ধ্যা ও রাতের বেলায় অকারণে বাইরে ঘোরাফেরা করছে। এর ফলে তারা সহজেই মাদক, জুয়া, কিশোর গ্যাংসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা এবং সমাজকে অপরাধমুক্ত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সন্ধ্যার পর কোনো স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীকে অপ্রয়োজনে বাইরে পাওয়া গেলে প্রথমে তার পরিচয় নিশ্চিত করে অভিভাবকদের ডেকে সতর্ক করা হবে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হবে। তবে নির্দেশনা অমান্য করে পুনরায় এমন ঘটনা ঘটলে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
ওসি বলেন, “পুলিশ একা সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে পারবে না। সন্তানদের প্রতি নজর রাখা অভিভাবকদের নৈতিক দায়িত্ব। পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পুলিশ—এই তিন পক্ষ একসঙ্গে কাজ করলে কিশোর অপরাধ ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধ করা সম্ভব।”
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা পুলিশের এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেন। তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক অবক্ষয় ও অপরাধপ্রবণতা রোধে এমন সিদ্ধান্ত জরুরি। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার মাধ্যমে তাদের ইতিবাচক পথে পরিচালিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
বেলাব থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে রাতকালীন টহল জোরদার করা হয়েছে। সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করা কোনো শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। পাশাপাশি এলাকার সচেতন মহল ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও সমন্বয় করে নজরদারি বাড়ানো হবে।
পুলিশ আশা করছে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বেলাব থানা এলাকায় মাদক, জুয়া ও কিশোর অপরাধ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে এবং স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ জীবনে ফিরে আসবে।ো