নিউজ ডেস্ক :: নিজে বিষপানের পর ৩ মেয়েকে বিষ খাওয়ালেন মা
গোপালগঞ্জে বাবার একাধিক বিয়ের বিষয় নিয়ে শাশুড়ির মানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন পলি বেগম নামের এক গৃহবধূ। শুধু তাই নয়, বিষপানের পর নিজের হাতে তার তিন কন্যা সন্তানকেও বিষ খাওয়ান তিনি।
পরে অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে ছোট মেয়ে দেড় বছরের মীম মারা যায়।জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে কাশিয়ানী উপজেলার লংকারচর গ্রামের হাবিবুর রহমান মোল্যার ছেলে টিটু মোল্যার সঙ্গে একই উপজেলার খাগড়াবাড়ি গ্রামের শরিফুল শেখের মেয়ের সঙ্গে পলি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় শাশুড়ি সেকেলা বেগম তার পুত্রবধূ পলির বাবা শরিফুল শেখের একাধিক বিয়ে নিয়ে মানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে পলি তার শাশুড়ির উঠানে জ্বালানি (গাছের পাতা) শুকাতে দেয়। এ নিয়ে শাশুড়ি গালমন্দসহ পলির বাবার একাধিক বিয়ের বিষয় নিয়ে নানা বাজে মন্তব্য করতে শুরু করেন। এর জেরে দুপুরে জমিতে ব্যবহারের জন্য বাড়িতে থাকা কীটনাশক পান করেন পলি বেগম। পরে চামচে করে একে একে তার মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৮ বছরের মেয়ে আফসানা, আড়াই বছরের আমেনা ও দেড় বছরের মীমকে বিষপান করান।
বিষয়টি টের পেয়ে প্রথমে তাদেরকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মীম মারা যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক অনামিকা জাহান জানান, মা পলি বেগম ও বড় মেয়ে আফসানা শঙ্কামুক্ত হলেও খানিকটা ঝুঁকিতে রয়েছে আড়াই বছরের মেয়ে আমেনা।
এদিকে পলি বেগমের স্বামী টিটু মোল্যার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। জানতে চাইলে কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান জানান, এ বিষয়ে কাশিয়ানী থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।