নিজস্ব প্রতিবেদক :: পিরোজপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মুন্না গ্রেপ্তার
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. আল-আমিন শেখ ওরফে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বরিশাল র্যাব-৮ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে রাত পৌনে ৮টার দিকে বরিশাল নগরের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন চরকাউয়া এলাকা থেকে আল-আমিন শেখ ওরফে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুরের নেছারাবাদে নবম শ্রেণির ছাত্রী ভিকটিমকে প্রেমের ফাঁদে ফেলা হয়। পরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেছারাবাদ থানাধীন জলাবাড়ি ইউনিয়নের বাবুর বাড়ির সংলগ্ন রুবেলের মুরগির খামারের ফাঁকা ঘরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।
ভিকটিম বিষয়টি স্বজনদের জানালে, তার মা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় রুবেল হোসেনের মুরগির খামারের কর্মচারী ও দায়েরকৃত মামলার আসামি দবির শেখ ওরফে আকাশ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে আত্মগোপনে চলে যান আল-আমিন শেখ ওরফে মুন্না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। ঘটনাটি এলাকায় ভীতি সঞ্চার ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। তখন থেকেই ওই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-৮ (সিপিএসসি ক্যাম্প) গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
র্যাব-৮ সিপিএসসি কোম্পানি বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে নগরের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন চরকাউয়া এলাকা থেকে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও র্যাব জানিয়েছে।