নিজস্ব প্রতিবেদক :: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে শ্বশুরবাড়ির পাশের সয়াবিন ক্ষেত থেকে মো. আবুল কাশেম (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)।শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ভিকটিম কাশেমের শ্বশুর আলী আক্কাস (৫৫), শ্যালক মো. জহির উদ্দিন (২৮), জেঠস আকলিমা বেগম (২৫), স্ত্রী তাছলিমা বেগম (২২) ও শ্যালিকা তাহমিনা আক্তার (২০)। এরা সকলে কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ভিকটিম আবুল কাশেম কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়ির আবু সায়েদের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন। তাছলিমা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) এএসপি মো. গোলাম মোর্শেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদেরকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত কিনা, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। র্যাব জানায়, এটি একটি ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ড। হত্যা মামলার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সন্দিগ্ধ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম আবুল কাশেম গত দুই থেকে তিন মাস পূর্বে কমলনগরের হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনৈক মো. আলী আক্কাসের মেয়ে তাছলিমা আক্তারকে বিয়ে করে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশেম তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়।
২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি চরকাদিরা ইউনিয়নের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাতে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি সয়াবিন ক্ষেতে কাশেমের মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ভিকটিমের বাবা আবু ছায়েদ মোল্লা বাদী হয়ে কমলনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল উক্ত ক্লু-লেস হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় মামলার সন্দিগ্ধ আসামিদের গ্রেফতারে সক্ষম হন তারা। তাদেরকে কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে আসামিদের জাড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা এখনো তদন্তাধীন, তাই এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।