নিজস্ব প্রতিবেদক :: ছিনতাই মামলায় কারাগারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা
হত্যার ভয় দেখিয়ে মোবাইল ও নগদ অর্থ ছিনতাইয়ের একটি মামলায় জেল হাজতে প্রেরিত হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ছাত্রলীগ নেতা আবুল খায়ের আরাফাত ওরফে জুয়েল। রোববার বরিশাল মেট্রোপলিটন আদালতে হাজিরা দিতে এলে বিচারক তাকে হাজতে প্রেরণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ফজলুল রহমান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সাব্বির হোসেন নামের এক তরুণকে জোরপূর্বক তুলে আনা হয়। তারপর ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা ছিনতাই করে আরাফাত সহ আরো দুজন। এসময় ঐ তরুণকে মারধর করা হয় বলেও মামলা নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন আদালতে বন্দর থানার দায়িত্বরত নিবন্ধন কর্মকর্তা ফজলুল রহমান জানান, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর গতবছরের ৩১ মে পর্যন্ত বিষয়টির তদন্ত করে বন্দর থানা পুলিশ। এরপর যথাযথ আলামত ও প্রমাণ সাপেক্ষে বিচারের জন্য মামলাটি আদালতে প্রেরণ করা হয়। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারী) আসামী হাজির হলে তাকে হাজতে প্রেরণ করেন মহামান্য আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরাফাতের নামে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেবার অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে। সেই ঘটনায় ২০২১ সালেও একবার জেল হাজতে প্রেরিত হন তিনি। জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানারকম অপরাধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন আরাফাত।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি অংশের প্রচ্ছন্ন মদদে আবুল খায়ের আরাফাত দিনের পর দিন ক্যাম্পাসে নানা অপরাধ সংগঠিত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী বর্তমান সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ সমর্থিত ছাত্রলীগের প্রতিনিধি হিসেবে আরো একাধিক মামলার ডজনখানেক আসামি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।
আসামীদের নিয়ে সভা করার কারণ জানতে উপাচার্যের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও বিষয়টি শুনেই তিনি ফোন কেটে দেন। আর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোন কমিটি নেই। যারা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে নানা অপরাধে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক। সেখানে কমিটি করার সময় বিতর্কিত কাউকে রাখা হবে না।