নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে মামলা তুলে নিতে বাদিকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
বরিশাল বিমানবন্দর থানাধীন কাশিপুরে হত্যার চেষ্টায় মামলার বাঁদিকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। এ সময় তার সাথে থাকা স্বর্ণ অলংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কুদঘাটা - বারোজ্যর হাটের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বাদী অপর্ণা মুক্তাকে (৩২) কে স্থানীয় ও পরিবারের সহযোগীরা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অপর্ণা ওই এলাকার প্রবাসী বদরুল আলমের স্ত্রী।
আহত অপর্ণা জানান, দীর্ঘ এক যুগ পূর্বে আমি দশ শতাংশ জমি ক্রয় করি।
বসবাসের জন্য ওই জমিতে একতলা বিশিষ্ট বিল্ডিং স্থাপন করা হয়।
কিন্তু ৭-৮ বছর ধরে এলাকার প্রতিবেশী হারুন মকবুল, কালাম, নুর ইসলাম, জব্বার সহ একদল সন্ত্রাসী আমার কাছে দফায় দফায় মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছে।
আমার বসতবাড়ি বিল্ডিং স্থাপন করতে গিয়ে অনেক হুমকিসসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আমরা স্বামী-স্ত্রী প্রবাসে থাকি। যে সুযোগে প্রতিপক্ষরা চাঁদার জন্য আমাকে অনেকবার হত্যার টার্গেট করে।
বিষয়টি নিয়ে আমি বিমানবন্দর থানাকে অনেকবার অবগত করি এবং আসামিদের বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি নামদারী পাঁচজনকে আসামি করে বরিশাল বিজ্ঞ আদালতে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করি।
মামলার আসামিরা হলো করমজা এলাকার মৃত বেল্লাল উদ্দিনের ছেলে হারুনুর রশিদ, আব্দুল লতিফ হাওলাদার এর ছেলে মকবুল হোসেন, আব্দুল জব্বার ও হাবিবুর রহমান, নুরুল ইসলাম হাওলাদার, এবং মৃত আব্দুল মান্নান খানের ছেলে কালাম খান।
মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশের কাছে তদন্ত দেওয়া হয়।
মামলার পর থেকে আসামিরা আমাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে ঘটনার দিন রাত আটটার দিকে বরিশাল থেকে কুদঘাটা হয়ে আমার বাসায় যাওয়ার পথে বারিজ্যের হাটের মাঝামাঝি স্থানে আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে মামলা তুলে নিতে বলে। আমি রাজি না হলে আমাকে হত্যার চেষ্টায় এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন হারুন, মকবুল, আব্দুল জব্বার, হাবিবুর রহমান, নুর ইসলাম, কালাম খানসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজন সূত্রে জানা যায়।