নিজস্ব প্রতিবেদক :: বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনে মারা যাওয়া বরিশালের নাহিয়ান আমিনের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন।
পথে বেরোলেই দুর্ঘটনা, নানা স্থানে অগ্নিকাণ্ড—এমন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী নাহিয়ান আমিন তাঁর বন্ধুদের বলেছিলেন—এ দেশে থাকলে মরে যেতে হবে। উন্নত দেশগুলোর ব্যবস্থাপনাই হয়তো তাঁর মাথায় ছিল। হয়তো উচ্চশিক্ষার জন্য একদিন এমন কোনো দেশে যেতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু আর যাওয়া হলো না। নিজের দুর্ভাবনার মতো করে মৃত্যু এসে তাঁকে ছিনিয়ে নিল।
তাঁকে ফিরে যেতে হলো বরিশালের মাটিতেই। শুক্রবার বিকেলে জানাজা শেষে বরিশালের মুসলিম গোরোস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনে মারা যাওয়া বরিশালের নাহিয়ান আমিনের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে আসর নামাজের পর। শুক্রবার আসর নামাজ শেষে বরিশাল নগরীর পলিটেকনিক জামে মসজিদে নাহিয়ানের জানাজা সম্পন্ন হয়। এ সময় স্থানীয় মুসল্লিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে বরিশাল নগরীর মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়।
বেইলি রোডের আগুনে পুড়ল দুই বুয়েট শিক্ষার্থীর স্বপ্ন বেইলি রোডের আগুনে পুড়ল দুই বুয়েট শিক্ষার্থীর স্বপ্ন এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে নাহিয়ান আমিনের মরদেহ তাঁর বাসার সামনে এসে পৌছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন নাহিয়ানের আত্মীয়–স্বজনেরা।
নাহিয়ান বরিশাল নগরীর পলিটেকনিক রোডের রিয়াজুল কবিরের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের বহুতল ভবনটিতে লাগা ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। দুই ভাইবোনের মধ্যে ছোট নাহিয়ান বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের এক বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছে। আরও অনেকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।