নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত
যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ও উৎসবমূখর পরিবেশে বরিশালে আজ বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত হয়। সকালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ পারভেজ হাসান, উপমহা পুলিশ পরিদর্শক মো. জামিল হাসান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক গৌতম বাড়ৈ এবং পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের প্রধান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।
শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চ তাঁর সাড়ে ১৮ মিনিটের ভাষণে বাঙালী জাতির স্বাধীনতা অর্জনের দিক দির্দেশনা দিয়েছেন। জাতির জনক আজীবন যে স্বপ্ন লালন করেছেন ৭ই মার্চের ভাষণ তার বহি:প্রকাশ। জাতির জনকের নির্দেশনায় বাঙালি জাতি আজ এক গর্বিত জাতি হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। জাতির জনকের এ ভাষণ সারা বিশ্বে সমাদৃত এবং গবেষণার বিষয়। এই প্রেরণামূলক ভাষণ বিশ্বের অনেক ভাষায় ইতোমধ্যে অনুদিতও হয়েছে। এ ভাষণ শুনে সাত কোটি বাঙালি বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে অর্জণ করেছেন লাল-সবুজের পতাকা ও একটি স্বাধীন দেশ।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক গৌতম বাড়ৈর সভাপতিত্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ পারভেজ হাসান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সোহরাব হোসেন, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক (বীর প্রতীক) এবং সাবেক সংসদসদস্য ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস।
আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ১৫ জন বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার দেওয়া হয়।
নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান, চৌমাথা, বিবিরপুকুর পাড়, লঞ্চঘাট ও নথুল্লাবাদ বাস স্টেশনে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।