নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে সয়াবিন ক্ষেত থেকে আ.লীগ নেতার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
বরিশালের হিজলা উপজেলায় জামাল মাঝি (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে মেঘনা নদীর তীরে সয়াবিন ক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জামাল মাঝি ধুলখোলার পালপাড়া গ্রামের মৃত কাদের মাঝির ছেলে। তিনি ধুলখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের অনুসারী ছিলেন।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ধুলখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল ঢালীর নেতৃত্বে জামাল মাঝিকে হত্যা করা হয়েছে। জামাল ঢালী পঙ্কজ নাথের প্রতিপক্ষ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের অনুসারী। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই বছর ধরে দুই এমপির সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এ অবস্থা আরও ভয়ংকর হয়। এর আগে নিহত জামাল মাঝির ঘরে আগুন দিয়েছিল প্রতিপক্ষরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেঘনার তীরে জামাল মাঝির মাছঘাট রয়েছে। মাছের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চেয়ারম্যান জামাল ঢালীর সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। লাশ উদ্ধারের পর তার শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চিহ্ন দেখা যায়।
জামাল মাঝির স্ত্রী আখি নুর জানান, তার স্বামী ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে বের হন, আর ফেরেননি। সকাল ৯টার দিকে চরে সয়াবিন ক্ষেতে তার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
তিনি দাবি করেন, চেয়ারম্যান জামাল ঢালী, আলম, বাবুলর তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। স্বামী হত্যার বিচার চান আখি নুর।
ধুলখোলা ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল ইসলাম রাসেল বলেন, পুলিশ সকাল ৯টার দিকে সয়াবিন ক্ষেত থেকে জামালের মরদেহ উদ্ধার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখান বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছেন।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জামাল ঢালী বলেন, কে বা কারা জামাল মাঝিকে হত্যা করে সয়াবিন ক্ষেতে ফেলে রেখেছে, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তিনি পঙ্কজ এমপির লোক হিসেবে আওয়ামী লীগ করতেন। এর আগে জামাল মাঝি নিজেই তার ঘরে আগুন দিয়ে হামলার নাটক করেছিলেন।
এ বিষয়ে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়ের হোসেন বলেন, নিহত জামাল মাঝি এমপি পঙ্কজের অনুসারী ছিলেন। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এটি রাজনৈতিক কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।