নিজস্ব প্রতিবেদক :: মেহেন্দিগঞ্জে চাঁদার দাবিতে তরমুজ ট্রলার লুট, আহত ৫
মেহেন্দিগঞ্জে উপজেলার শ্রীপুরে চাঁদার দাবীতে দু,দফায় হামলা চালিয়ে ৫ তরমুজ চাষিকে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তারা ট্রলার ভর্তি তরমুজ লুটপাট করে নিয়ে যায়।
৫ এপ্রিল শুক্রবার উপজেলার শ্রীপুরের মহিষমারী ও লড়াইপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, মহিষমারির হাসেম হাওলাদার এর ছেলে নান্নু হাওলাদার, লড়াইপুরের আব্দুল লতিফ ও তার ছেলের জুবায়ের এবং মোখলেস তালুকদার,রেকেয়াত আলী।
বর্তমানে তারা গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত জোবায়ের জানান, জুবায়ের একজন তরমুজ চাষী। দীর্ঘদিন ধরে জুবায়ের সহ অন্যান্য তরমুজ চাষীদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে স্থানীয় মোসলেম জমাদরের ছেলে হাসান জমাদ্দার ও তার সহযোগীরা।
চাঁদার দাবিতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সহ ভয় ভীতি দেখালে বাধ্য হয়ে জোবায়ের ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দেয় হাসানকে।
এভাবে পরবর্তী ধাপে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে হাসান ও তার বাহিনী।
এলাকার অনেক তরমুজ চাষীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছে হাসান বাহিনী।
ঘটনার দিন শুক্রবার প্রথম দফা সকাল দশটার দিকে হাসান ও তার একদল বাহিনী নিয়ে লড়াইপুড়ে যায়। সেখানে সে পুনরায় যুবারের কাছে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় জুবায়ের এবং তার সহযোগী রেকেয়েত আলী , মোকলেস তালুকদার আহত হয়।
হামলার পর হাসান বাহিনী জুবায়েরের ট্রলার ভর্তি তরমুজ ছিনিয়ে নিয়ে যায।
পরবর্তীতে মহিষ মারিতে গিয়ে আহত নান্নুকে কৃষি জমিতে মাটি কাটতে দেখে তার উপরে চড়াও হয়, একপর্যায়ে তাকেসহ তার স্ত্রী কে মারধর করেন হাসান বাহিনী।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাসান একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। বর্তমান সাংসদ পংকজ দেবনাথের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের উপর জুলুম অত্যাচার নিপীড়নসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।
হাসানের ভয়ে কেউ কোন কিছু মুখ খুলতে পারছে না।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হক জানান, শ্রীপুরে মারামারির ঘটনা ঘটছে এটা সত্য, আমার অফিসার পাঠিয়েছি অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।