নিউজ ডেস্ক :: স্ত্রীকে নিয়ে চলে গেল বাস, ফেলে গেল স্বামীকে
স্ত্রীসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের বাসে উঠিয়ে দিয়েছেন ঠিকই; কিন্তু নিজে উঠতে পারেননি। স্বামীকেরেখেই চলে গেছে বাস!
মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে ঐ ব্যক্তি জানান, তিনি সহযাত্রীদের বাসে উঠিয়ে মালামাল উঠাবেন; এমন সময় বাসটি তাকে রেখেই চলে যায়। ভেতরে থাকা তার স্ত্রী, বোন এবং ২ ভাগ্নির হাজার অনুরোধের পরও বাস থামানো হয়নি। তিনি জানান, বাসটি যখন গাজীপুর চলে গেছে তখন পরিবহনের পক্ষ থেকে বলা হয় তাকে পরের বাসে নেয়া হবে। অথচ অতিরিক্ত ভাড়ায় একেকজনের জন্য ৮০০ টাকার টিকিট কেটেছিলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, বাস তাদের রেখে যাওয়ার পর নতুন করে ১০০০ টাকা দরে টিকিট কিনতে হবে বলে জানিয়েছে পরিবহনের লোকজন।
অথচ মহাখালী বাস টার্মিনালে ঢুকতেই শোনা যায়, মাইকের আওয়াজে বার বার সাবধান করা হচ্ছে, সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে কোনো প্রকার অতিরিক্ত অর্থ যাতে আদায় না হয়। এমনকি যাত্রীদেরও সচেতন করা হচ্ছে, কাউন্টার ছাড়া অন্য কোনো জায়গা থেকে অতিরিক্ত দামে টিকিট না কাটতে।সরেজমিন দেখা গেছে, মহাখালী বাস টার্মিনালে ময়মনসিংহের যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ, এমনকি তিনগুণ ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে। কোনো অভিযোগ করেও মিলছে না সমাধান; বরং পড়তে হচ্ছে আরো বেশি বিড়ম্বনায়। বাসভাড়া নিয়ে অভিযোগ করায় কমিউনিটি পুলিশের রোষানলে পড়েন কয়েকজন যাত্রী।ফারুক নামের এক যাত্রী জানান, তার কাছ থেকে ৩০০ টাকার ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৮০০ টাকা। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও অন্য কোনো পরিবহনে এর চেয়ে কম ভাড়া না মিলায়, বাধ্য হয়েই এই ভাড়ায় বাড়িমুখো হয়েছেন তিনি।আরেক যাত্রী অভিযোগ করেন, সৌখিন পরিবহনে ৬০০ টাকা জনপ্রতি ভাড়ায় যাত্রী বোঝাই করার পর সবাইকে বাসের ত্রুটি দেখিয়ে নেমে যেতে বলে সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তীতে সেই বাসই আরো বেশি ভাড়ায় যাত্রী উঠিয়ে গন্তব্যে রওনা দেয়। টার্মিনালে অসংখ্য যাত্রী এবং বাস থাকার পরও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বাসের ঘাটতি দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও এই দুরবস্থা থেকে কোনো ধরনের রেহাই মিলছে না বলে অভিযোগ করেন এই যাত্রী।অভিযোগ করায় যাত্রীদের হুমকি-ধামকি দেওয়া এক তরুণ নিজেকে কমিউনিটি পুলিশ দাবি করে জানান, যাত্রীদের তারা সচেতন করার চেষ্টা করছেন যেন অতিরিক্ত ভাড়া না দেন। পাশাপাশি পরিবহন চালকদের না পোষালে তারা গাড়ি চালাবেন না, এ ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই। কেউ যদি অভিযোগ করেন, তাহলে তারা ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
নিজেকে টার্মিনাল কমিটির সদস্য সচিব দাবি করা এক ব্যক্তি বলেন, টার্মিনালে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ নিয়ে আসেনি। সবাই লাইন ধরে সুশৃংঙ্খলভাবে টিকিট নিচ্ছেন।