লাইফস্টাইল ডেস্ক :: দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে চাইলে স্ত্রীকে ঠাট্টা করেও যেসব কথা বলা উচিৎ নয়
দাম্পত্য জীবন সুখের করতে চাইলে স্বামী-স্ত্রী অর্থাৎ দু’জনের মুখেই হাসি থাকা চাই-ই চাই। একমাত্র সাবলীল আনন্দই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। নচেৎ, দৈন্য জীবনের ভারে ক্লান্ত হবে দাম্পত্য জীবন। হারিয়ে যাবে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ। অসম্ভব হবে একসঙ্গে থাকা।
তাই তো সম্পর্কের ক্যানভাসে রঙিন ফুল আঁকতে চাইলে একে অপরের সঙ্গে হেসেখেলে জীবনযাপন করতে হবে।
তবে মুশকিল হলো, কিছু পুরুষ এই বিষয়টাকে অত্যন্ত সিরিয়াসলি নিয়ে ফেলেন। তাই তারা দাম্পত্যের পরিসরে সব সময় হাসিঠাট্টা করতে চান। এই কাজটা করতে গিয়ে তারা স্ত্রীকে নিয়ে এমন কিছু মজার কথা বলে ফেলেন, যা নারী মনে তৈরি করে গভীর ক্ষত। যার ফলস্বরূপ স্বামীর সঙ্গে দূরত্বও বাড়িয়ে নিতে পারেন স্ত্রী।
তাই দাম্পত্যের পরিসরে ‘জোকস’ করার আগেও সাবধান হতে হবে। অবশ্যই ঝোঁকের বশেও কিছু বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মজা করবেন না। নইলে কিন্তু কপালে বিচ্ছেদ ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।
তো চলুন জেনে নিই সেই সব কথা সম্পর্কে-
> তোমার বাবার মতো খারাপ লোক নেই: একটা মেয়ের কাছে তার বাবা হলেন সুপারহিরো। তাই বাবাকে নিয়ে কথা বলার আগে সচেতন হোন। মজা করেও শ্বশুরের নামে খারাপ কথা বলবেন না। নইলে কিন্তু ফেঁসে যাবেন। আপনার কথা স্ত্রীর বুকে গিয়ে পুরো শেলের মতো বিঁধবে। তখন ঠেলা সামলাতে পারবেন না। তাই আজ থেকে নিজের মুখে লাগাম পরানোর চেষ্টা করুন।
> তুমি মোটা হয়ে যাচ্ছো: মজা করেও স্ত্রীকে মোটা বলবেন না। এটা এক ধরনের বডি শেমিং, যা সব সময়ই নিন্দনীয়। সে যতই আপনি নিজের স্ত্রীকে বলুন না কেন! মনে রাখবেন, স্বামীর মুখে এহেন নিন্দাবাক্য শোনার পর স্ত্রীর মন থেকে ভালোবাসার প্রতিও বিশ্বাস উঠে যায়। তাই সম্পর্কের ভালো চাইলে নিজেকে আটকান বন্ধু তুমি কি বেশি বোঝো?: মজার ছলে স্ত্রীকে সব বোদ্ধা বললেও কিন্তু মহা ফাঁসা ফেঁসে যাবেন। এই কথাটা বলার পরই দেখবেন স্ত্রীর মুখ ভার হয়ে গেছে। তিনি আর আপনার সঙ্গে একটা কথাও বলবেন না। এমনকি আপনার সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকতেও নারাজ হতে পারেন। তাই স্ত্রীর সব বিষয়ে কথা বললেও তাকে কটাক্ষ করবেন না। বরং চুপচাপ তার কথা শুনুন। এতেই দাম্পত্যে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে।
> দুই পয়সা কামিয়ে দেখাও তো দেখি: অনেক সময় স্বামীরা ঝোঁকের বশেই স্ত্রীকে এই কথাটা বলে দেন। হয়তো তারা কথাটা এভাবে বলতে চান না, তবে মুখ ফসকে বলে ফেলেন। তাতেই স্ত্রীর মনে তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ের কবলে পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় সংসারের চেনা পরিসর। তাই আর যাই করুন না কেন, স্ত্রীর উপার্জন নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা চলবে না। নইলে যে ফেঁসে যাবেন।
> তোমার মতো অলস দেখিনি: নারীরা অলস অপবাদ ঘুণাক্ষরেও শুনতে চান না। বিশেষত, স্বামীর মুখ থেকে এই শব্দটা শুনলে তারা বিশেষভাবে চটে যান।
এমনকি নারীদের গ্রাস করে হীনম্মন্যতা। তাই সংসারকে সুস্থভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে স্ত্রীকে খিল্লির মুডেও এই কথা বলবেন না। নইলে যে বড় ফাঁসা ফেঁসে যেতে হবে। এমনকি শান্ত দাম্পত্যে হানা দিতে পারে জটিল সমস্যা। তাই সাবধান হোন।