ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২২ মে ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আলোক শিখা সমিতির পরিচালকের বি*রু*দ্ধে কোটি কোটি টাকা আ*ত্ম*সাতচে*ষ্টার অভি*যোগ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মে ২২, ২০২৫ ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: আলোক শিখা সমিতির  পরিচালকের বি*রু*দ্ধে কোটি কোটি টাকা আ*ত্ম*সাতচে*ষ্টার অভি*যোগ।

 

নেছারাবাদে ‘আলোক শিখা’ নামে একটি সমিতির বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতচেষ্টার করার অভিযোগ উঠেছে। সমিতিতে আমানতের টাকা ফেরৎ পেতে সমিতির পরিচালক দেলোয়ার হোসেনের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী সদস্যরা।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বরূপকাঠী শাখার সদস্যরা বানারীপড়া থানাধীন ব্রাক্ষ্মনকাঠী গ্রামে জড়ো হয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে দেলোয়ার হোসেনের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই সমিতির পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার ব্রাক্ষ্মনকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আলোক শিখার ২৩টি শাখা খুলে সমিতি পরিচালনা করে আসছিলেন। যারমধ্যে নেছারাবাদ উপজেলায় তাঁর তিনটি শাখা রয়েছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগে তিনি উপজেলার তিনটি শাখা থেকে ২০ কোটি টাকা হাতিয়েছেন।
ভুক্তভোগী হাসি ও রেহানা বেগম জানান, তারা সমিতির মালিককে চিনতেন না। তাদের গ্রামের শারমিন নামে এক তরুণীর কথায় প্ররোচিত হয়ে সমিতিতে টাকা রেখেছিলেন। এখন সমিতির পরিচালক দেলোয়ার হোসেন টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন। মাঠকর্মী শারমিনের বাসায় গেলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। দেলোয়ারের বাড়ীতে আসার খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে আমরাসহ তিন শতাধিক সমিতির সদস্য তার বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে টাকা চাইলে সে আমাদের কাছে কয়েক দিন সময় চায়। তবে আমাদের ধারনা দেলোয়ার আমাদের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে ‘আলোক শিখা’ সমিতির পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বানারীপাড়া ও স্বরূপকাঠী দুই উপজেলায় আমার ২৩টি শাখা ছিল। বর্তমানে সদস্যদের চাপে একটি শাখাও খুলে রাখতে পারি না। আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে। আমি গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা আমানত পেয়েছি এবং প্রায় ২২ কোটি টাকা সমিতি থেকে ঋণ দেওয়া আছে। আমি অফিস খুলতে না পারলে সদস্যদের টাকা দিতে সমস্যা হবে। তিনি আরও বলেন, সদস্যদের টাকা পরিশোধ করতে হলে আমাকে সময় দিতে হবে এবং অফিস খুলতে সহযোগীতা করতে হবে।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে ‘আলোক শিখা’ সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সমিতির মালিককে ফোন করে অফিসে আসার জন্য বলেছি, কিন্তু সে আসেনি।