নিউজ ডেস্ক :: মুক্তি পেয়েই পরীক্ষার হলে জবি শিক্ষার্থী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় কারাবন্দি থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েই পরীক্ষায় বসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার সময় খাদিজা কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সরাসরি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে।সকাল ১০টার সময় পরীক্ষা শুরু হলেও এদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে তিনি হলে প্রবেশ করেন। দুই সেমিস্টার লস দিয়ে চতুর্থ সেমিস্টারে পরীক্ষায় বসেছেন তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার এক বছর দুই মাস ২৩ দিন পর তিনি মুক্ত হন খাদিজা।
মুক্তির পর খাদিজা কাশিমপুর কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে বলেন, ‘আমার সঙ্গে অন্যায় তো হয়েছেই। বিনা দোষে আমি প্রায় ১৫ মাস জেল খাটলাম। এর চেয়ে বেশি কিছু আর এখন বলতে চাই না। বলার মতো মন-মানসিকতা আমার নেই।’
খাদিজার বোন সিরাজুম মনিরা বলেন, খুব সকালে আমরা কারাগারে যায়। তারপর সকাল ৯টার সময় খাদিজাকে মুক্তি দেয়। খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু আজ থেকে এ জন্যই খুব সকালে আসি। সকাল সাড়ে ১১টায় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জামিন পান খাদিজা। জামিনের আদেশ গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। কিন্তু গতকাল দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাকে ছাড়াই ফিরে যায় স্বজনরা। বৃহস্পতিবার খাদিজার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১১ মাস ধরে তিনি কারাগারে। ইতোমধ্যে দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে পারেননি খাদিজা। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই মামলায় হাইকোর্ট তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।